যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের নির্বাচনের আগে দিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলা নারী টারা রিড মস্কোয় গিয়ে রাশিয়ার নাগরিকত্ব চেয়েছেন। রাশিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা স্পুৎনিককে ৫৯ বছর বয়সী টারা রিড বলেন, তিনি এই দেশে নিরাপদ বোধ করেন এবং এখানে থাকতে চান। রিড অভিযোগ করেছিলেন, ১৯৯৩ সাল তিনি যখন বাইডেনের কংগ্রেশনাল কার্যালয়ে চাকরি করতেন তখন বাইডেন তাকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অবশ্য জোরাল কণ্ঠে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, এমনটা কখনো ঘটেনি, কখনোই না। খবর বিডিনিউজের।
বিবিসি জানায়, বাইডেন যখন ডেলাওয়ারের সেনেটর ছিলেন তখন তার কার্যালয়ে একজন সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন রিড। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার যখন তুঙ্গে ওই সময় রিড বাইডেনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, ক্যাপিটল হিলের করিডরে বাইডেন তাকে যৌন হয়রানি করেন, সেময় তার বয়স ছিল ২৯ বছর। তার অভিযোগ, বাইডেন তাকে দেয়ালের সঙ্গে চেপে ধরেছিলেন এবং তার স্কার্ট ও শার্টের নিচে হাত দিয়েছিলেন। স্পুৎনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিড আরও বলেন, যখন আমি মস্কোতে উড়োজাহাজ থেকে নেমে মাটিতে পা দিলাম, অনেক দীর্ঘ সময় পর প্রথমবারের মত আমার নিরাপদ বোধ হয়েছে। নিজেকে গ্রহণযোগ্য এবং সম্মানিত মনে হয়েছে। একজন রিপাবলিকান রাজনীতিক তাকে তার জীবননাশের হুমকি নিয়ে সতর্ক করলে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেন বলেও দাবি করেন রিড।
তিনি বলেন, আমি রাশিয়ার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে চাই..আমি একজন ভালো নাগরিক হয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। তবে তার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
২০১৯ ও ২০২০ সালে রিড ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন নারী সামনে এসে বাইডেনের বিরুদ্ধে তাদের শরীরে অসঙ্গতভাবে হাত দেওয়া, জড়িয়ে ধরা এবং চুমু খাওয়ার অভিযোগ করেন। রিড দাবি করেছেন, যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া নিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছিলেন। যদিও এখন পর্যন্ত ওই অভিযোগ সংক্রান্ত কোনো নথি পাওয়া যায়নি। তার অভিযোগ নিয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত হয়েছিল কিনা সেটাও নিশ্চিত নয়। বাইডেনের একজন মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট বিশ্বাস করেন একজন নারীর কথা বলার অধিকার রয়েছে। তবে রিড যে অভিযোগ তুলেছেন তেমনটা নিশ্চিতভাবে কখনোই ঘটেনি।