বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশের অভিযানে চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচা চক্রের ৪ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, গত ৩ মে দুপুরে বায়েজীদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন জেলা পরিষদ আবাসিক এলাকার একটি ভবনের নিচতলার পার্কিং থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এই ঘটনায় বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকতা এসআই মো. মনিরুল ইসলাম মামলার প্রাথমিক তদন্তকালে জানতে পারেন যে, কঙবাজার জেলার রামু থানা এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র বাদীর মোটরসাইকেলটি চুরি করেছে এবং চোরাই গাড়িটি ওই এলাকায় আছে। তথ্যের ভিত্তিতে কঙবাজার জেলার রামু থানাধীন রামু বাইপাস এলাকার নুরুল ওয়ারেজ মটরস্ গ্যারেজের সামনে থেকে ১ নং অভিযুক্ত মো. রিয়াজ উদ্দিন জাহেদকে (২০) আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে সে মোটরসাইকেল চুরির সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২ নং আসামি মো. জাকির হোসেনকে (২৬) রামু বাইপাস এলাকা থেকে গত ১২ মে সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তারা উভয়ে স্বীকার করে তাদের হেফাজতে চোরাই মোটরসাইকেল আছে। এ সময় আসামি রিয়াজের গ্যারেজ থেকে ২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল দুটির ইঞ্জিন ও চেচিস নম্বর ঘষামাজা থাকায় উভয়কে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা জানায় তাদের অপর সহযোগী মো. রহমত উল্লাহ (১৯) ও মো. রফিকুল ইসলাম প্রকাশ সাগরের (২০) নিকট বাদীর চুরি হওয়া মোটরসাইকেলসহ আরও চোরাই মোটরসাইকেল আছে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আসামি মো. রহমত উল্লাহ ও আসামি মো. রফিকুল ইসলাম প্রকাশ সাগরকে রামুর বাইপাস থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ৩ ও ৪ নম্বর আসামির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রামু থানাধীন বাইপাস ফুটবল চত্বর এলাকা থেকে আরও ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রের এবং চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচা চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা চট্টগ্রাম থেকে চুরি করে পরবর্তীতে কঙবাজার এলাকায় নিয়ে ইঞ্জিন ও চেচিস নম্বর ঘষামাজা করে পুনরায় বিক্রয় করে।