‘মোদের গরব মোদের আশা / আ মরি বাংলা ভাষা’। কবি অতুল প্রসাদ সেনগুপ্তের কবিতা দিয়ে ভাষার প্রতি ভালোবাসা এবং বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার লেখাটি শুরু করছি। কবির এ কবিতা এবং গান ষাটের দশকে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙ্গালি কবি, বাংলার নব জাগরণী সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত‘ র বঙ্গভাষা কবিতায় “হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন / তা সবে ( অবোধ আমি!) অবহেলা করি,/ পরধন লোভে মত্ত করিনু ভ্রমণ”। দু’জন প্রতিষ্ঠিত কবির কবিতার সুরে আমরাও বলতে পারি মাতৃভাষা, স্বদেশের ভাষা এক মহান সম্পদ। জীবন ও সংস্কৃতিতে প্রাণ– সঞ্জীবনী নিহিত আছে মায়ের ভাষা, সকলের মাতৃভাষাতেই। আর এ মাতৃভাষাতেই সম্ভব মনের ভাব, ইচ্ছা, আকাঙ্খা ও আবেগ অনুভূতি নিখুঁতভাবে প্রকাশ করা। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাস্ট্রের সৃষ্টি হলেও পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর অমানবিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিকে রাজনীতির অচলায়তনে ঘূর্ণাবর্তে থাকতে হয়েছিল দীর্ঘ ২৪ বছর।
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে বৃটিশ বেনিয়ারা এদেশ ছেড়ে গেলেও স্বাধীনতা পরবর্তী পূর্ব পাকিস্তানে নতুন করে শুরু হয় সংখ্যালঘু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্মম শোষণ নিপিড়ন। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মুখের ভাষা ছিল বাংলা আর পশ্চিম পাকিস্তানিদের ভাষা ছিল উর্দু। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী প্রথমেই আঘাতটি শুরু করেছিলো আমাদের মুখের ভাষা, প্রাণের ভাষা, মাতৃভাষা বাংলার উপর। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ২১ মার্চ পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাস্ট্র ভাষা। এর তিনদিন পর ২৪ মার্চ কার্জন হলে অনুষ্ঠিত সমাবর্তন সভায়ও একই ঘোষণার পুনরুল্লেখ করেন। বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও সাধারণ বাঙালি জনগণ তাঁর এ নিন্দনীয় ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ করতে থাকে। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঢাকায় এক জনসভায় বলেন উর্দুই হলো পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা। মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষার দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির আন্দোলন সংগ্রাম প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে।
আমাদের মুখের ভাষা মাতৃভাষা বাংলা কেড়ে নেওয়ার অনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা করার প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেওয়ার লক্ষ্যে গন আন্দোলন জোরদার করতে তমুদ্দন মজলিসের উদ্যোগে প্রথম রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারিকে ভাষা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা ভাষা রক্ষার আন্দোলন ক্রমান্বয়ে তীব্রতর হতে থাকে। বাংলাভাষার আন্দোলনকে বেগবান রাখতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সূচনা পর্ব থেকে শেষপর্যন্ত ছিলেন সক্রিয়। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিরাপত্তা আইনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রের পক্ষে আবেদন করা হয়। আবেদনে স্বাক্ষর করেছিলেন জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, ইত্তেফাক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক কাজী গোলাম মাহবুব, আতাউর রহমান খান, মাওলানা রাগিব আহসান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ৬ ফেব্রুয়ারি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় রাস্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভায় ১১ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি পতাকা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচি সফল করার জন্য জনসংযোগের কাজ শুরু করা হয়। ‘৫২ এর ৬ ফেব্রুয়ারি ছিল ভাষা আন্দোলনের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। বঙ্গীয় সমাজে বাংলা ভাষার অবস্থান নিয়ে বাঙালির আত্মপরিচয় ও আত্ম অন্বেষার যে ভাষা চেতনার উন্মেষ ঘটে তারই সূত্র ধরে বিভাগোত্তর পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর–ডিসেম্বরে ভাষা বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে এ আন্দোলন সীমিত পর্যায়ে থাকলেও ১৯৫২ এর ২১ ফেব্রুয়ারি এ আন্দোলনের চরম প্রকাশ ঘটে। ঐদিন সকালে শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা ছাত্র সমাজ ও সাধারণ জনগণ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে নেমেছিল। আন্দোলনরত জনতার উপর পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে শহীদ হয়েছিল সালাম, জব্বার, রফিক, বরকত, শফিউর ও নাম না জানা আরো অনেকেই।
পাকিস্তানিদের ঘৃণা বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের অকুতোভয় ছাত্র ও সাধারণ জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক সম্মিলিত ভাবে অভিন্ন প্রতিবাদী ভাষায় তাঁদের তীক্ষ্ণ লেখনীর মাধ্যমে নিন্দনীয় দমননীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে থাকে । “কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি”, চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীর তাৎক্ষণিকভাবে রচিত কবিতাটি ছিল পশ্চিমা শাসকদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এবং মাতৃভাষা রক্ষার দাবির স্বপক্ষে প্রথম প্রতিবাদী কবিতা। ২১ ফেব্রুয়ারির বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রয়াত সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী লিখেন তাঁর অমর গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি”। ২৩ ফেব্রুয়ারি একরাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয় একটি স্মৃতিস্তম্ভ যা পাক সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশরা গুঁড়িয়ে দেয়। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে ৭ মে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বাংলাকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানে পরিবর্তন আনা হয় ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ ফেব্রুয়ারি।
বাঙালির জাতীয় জীবনে ২১ ফেব্রুয়ারি একটি স্মরণীয় দিবস। একুশ আমাদের মহান অর্জন। একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির আবেগ অনুভূতির সাথে একাকার হয়ে মিশে আছে। বাঙালির চিন্তা চেতনায় অমর একুশ এক কালজয়ী সংগ্রামের চিরঞ্জীব ইতিহাস। ভাষার মর্যাদা রক্ষায় একুশে‘র চেতনা আমাদের আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রেরণা দিয়েছে। একুশ শিখিয়েছে মাথা নত না করে দীপ্ত শপথে জাতীয় অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে। তাই একুশ আমাদের গর্ব, একুশ আমাদের অহংকার। একুশ বাংলাভাষা রক্ষায় যৌবনোদীপ্ত জীবন বলিদানের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। একুশ বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার ও আত্মমর্যাদা প্রতিষ্টায় যথেষ্ট অবদান রেখেছে। একুশ আমাদের চেতনার বহ্নিশিখা।
পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে বাঙালির জীবনে আসে রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি মাস– ভাষা আন্দোলনের মাস। পুরো মাস জুড়ে আলোচনা, গান কবিতার মধ্য দিয়ে ভাষার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছিল বাংলার মাটিতে আমরা সেই শহীদদের স্মরণ করি হৃদয়ের গভীর মমতা আর ভালোবাসা দিয়ে। বাংলাভাষা রক্ষায় একুশ ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব আর শাসন শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ। বায়ান্নের একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তস্নাত পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন যার ফলশ্রুতিতে একাত্তরের দীর্ঘ নয়মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমাদের মহান অর্জন–স্বাধীন সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়। বস্তুত ফেব্রুয়ারি মাস যদিও শোকাবহ, অন্যদিকে আমাদের আছে গৌরবময় অর্জন। কারণ পৃথিবীর মানচিত্রে রক্ত দিয়ে ভাষা রক্ষা করার বর্ণিল ইতিহাস আছে শুধুমাত্র বাঙালির।
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির আত্মজাগরণের মাস। ভাষা আন্দোলনের চেতনা বাঙালির রক্তে চির প্রবহমান। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাঙালির নিরবচ্ছিন্ন ত্যাগ আর নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে একুশের আবির্ভাব। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপিত হলে ১৮৮ টি দেশ সমর্থন করায় একুশে ফেব্রুয়ারিকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। একুশে ফেব্রুয়ারি কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫ তম সভায় উত্থাপিত হলে ১১৩ সদস্য বিশিষ্ট জাতিসংঘের তথ্য বিষয়ক কমিটিতে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। ২০১০ খ্রিস্টাব্দের ২১ অক্টোবর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫ তম অধিবেশনে “এখন থেকে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করবে” মর্মে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। কাজেই একুশে ফেব্রুয়ারি এখন শুধু বাঙালির মাতৃভাষা দিবস নয়। প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হওয়ার পর বিশ্বে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত হয়। ভাষার লড়াইয়ে উৎসর্গীকৃত শহীদদের সুমহান ত্যাগ বাঙালির চিন্তা চেতনায় দেদীপ্যমান হয়ে উঠে যা উপমাবিহীন শাশ্বত প্রেরণা হয়ে সন্নিবেশিত হয় ‘৫২ পরবর্তী দেশের প্রতিটি গনতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম’। একুশের চেতনার নিরবচ্ছিন্ন স্রোত ধারায় অবগাহন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি ‘৭১ এর ঝঞ্জাবিক্ষুব্দ মুক্তিসংগ্রামে যার সুমহান প্রাপ্তি ১৬ ডিসেম্বর’৭১ এ বিজয়ের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে রাষ্ট্রের অভ্যুদ্বয়।
একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি রক্ষা করেছে মাতৃভাষা বাংলাকে, পেয়েছে নিজেদের বাঙালি হিসেবে পরিচয় দেওয়ার অধিকার। বাঙালি অর্জন করেছে লাল সবুজে আচ্ছাদিত পতাকা, দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা। এখন আমাদের সামনে যে আরাধ্য কাজটি রয়েছে তা হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরী হাতকে শক্তিশালী করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সোনার বাংলা ‘প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা’। আর এতে সম্ভব আমাদের সামাজিক মুক্তি, অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছে দেওয়ার সফল বাস্তবায়ন। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের আত্মদানে উদীপ্ত গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে এক সম্মানজনক অবস্থানে পৗঁছাতে পেরেছে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধির সাথেই মাতৃভাষা বাংলার সমৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক সকলের অন্তরে। সঙ্গীত, কবিতা, শিক্ষা,সংস্কৃতি ও সাহিত্যের ভান্ডার কে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে সর্বস্তরে বাংলার প্রচলনে আমাদেরকে আরো যত্নশীল হতে হবে। আর এভাবেই ভাষার জন্য রক্ত দানকারী শহীদদের প্রতি আমাদের ঋণ শোধবোধ কিছুটা হলেও পূর্ণ হবে। শিল্পীর কন্ঠে আর তো শুনতে হবে না “ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়”। একুশের চেতনায় আমাদের বাংলাভাষা ঋদ্ধ হবে – এই হোক আমাদের অন্তরের প্রত্যাশা। মাতৃভাষা সমুজ্জ্বল থাক। একুশে ফেব্রুয়ারি অমর হোক। জয় বাংলা। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সংগঠক, প্রাবন্ধিক ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ,
রাংগুনিয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম।