দীর্ঘ নয় বছরেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশ সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। গতকাল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড নিশ্চিত করেছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশে আসবে প্রোটিয়ারা। আর প্রোটিয়াদের এই ঘোষণার ফলে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ যেন সরে গেল বাংলাদেশের ক্রিকেট আকাশ থেকে। অথচ এই সিরিজ হবে কিনা বা এই সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা দল বাংলাদেশে আসবে কিনা তা নিয়ে ছিল ব্যাপক আলোচনা এবং সে শংকাও। এই সিরিজ খেলতে আসার ঘোষণা দেওয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল। তারা ঢাকা এবং চট্টগ্রাম এসে এখানকার নিরাপত্তার বিষয়টি পরখ করে যান। বিশেষ করে তাদের মূল চাহিদা ছিল খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে নিরাপত্তা ছক দেওয়া হয়েছে তা দেখে সন্তুষ্ট দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। দেশে ফিরে কদিন পর গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিরিজের সূচি প্রকাশ করা হলো। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ এই সিরিজের সূচি গতকাল সোমবার আনুষ্ঠনিকভাবে ঘোষণা করে বিসিবি। ২১ অক্টোবর থেকে প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এ বছর মিরপুরে প্রথম টেস্ট এটিই। গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দুটি টেস্ট হয়েছিল সিলেট ও চট্টগ্রামে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট এবারও হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। আর সে ম্যাচটি শুরু হবে ২৯ অক্টোবর। এই সফরে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ নেই দক্ষিণ আফ্রিকার। আইসিসি ভবিষ্যৎ সফর সূচির অংশ এই সিরিজে অন্য সংস্করণের খেলাও নেই। শুধু দুই টেস্টেই সীমাবদ্ধ এই সফর। আগামী ১৬ অক্টোবর ঢাকায় পৌছাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। সবশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। সেবার খেলা ছিল তিন সংস্করণেই। দুই ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজের দুটি ম্যাচই জিতেছিল প্রোটিয়ারা। ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ পেয়েছিল ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের স্বাদ। পরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ড্র হয়েছিল। দুটি ম্যাচই ড্র হয়েছিল মূলত বৃষ্টির কারণে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মোট ১৪ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। আর সে ১৪ টেস্টের মধ্যে দুটি টেস্ট ড্র করেছে মাত্র টাইগাররা। আর দুটিই বৃষ্টির কারণে সবশেষ সফরে। বাকি সব টেস্টেই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।