বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, একটি পরাজিত অপশক্তি চাইছে বাংলাদেশ রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূন্য থাকুক, যাতে তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে। কারণ এই অপশক্তি জানে বাংলাদেশের মানুষ তাদের সমর্থন করে না। আওয়ামী লীগ যেমন নির্বাচনকে ভয় পেয়ে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দানবীয় স্বৈরাচারী হয়ে ওঠেছিল তেমনি বর্তমানেও ঐ পরাজিত অপশক্তি নির্বাচন বানচালের মাধ্যমে–বিনাভোটে ক্ষমতা ভোগ করতে চাইছে। তাই তারা দেশ ও জাতিকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে বাধা দিচ্ছে।
তিনি গতকাল শনিবার সকালে নগরীর প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও জেলা এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশের আয়োজন করে।
জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও মামুনুর রশীদ শিপনের সঞ্চালনায় ও মহানগর জাসাসের আহ্বায়ক লায়ন এম এ মুছা বাবলুর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া ও উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম।
মীর হেলাল বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু থাকলে, দেশ স্থিতিশীল থাকলে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক থাকলে, মানুষ শান্তিতে থাকলে পরাজিত শক্তির সহ্য হয় না। তিনি জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ষড়যন্ত্রকে দেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করে বলে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি কর্মী পেশাজীবী শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষ এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত।
নাজিমুর রহমান বলেন, ৭১ এর পরাজিত শক্তি শহীদ জিয়ার উদারতার সুযোগ নিয়ে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়েছে। আজ তারাই জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে বিএনপির নেতাকর্মীরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম–আহ্বায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শওকত আজম খাজা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, মহানগর বিএনপির সদস্য ইকবাল চৌধুরী, মাহবুব রানা, ইকবাল হোসেন চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, ইঞ্জিনিয়ার জমির উদ্দিন নাহীদ, আবদুল মান্নান রানা, জসীম উদ্দিন চৌধুরী, নাজমা সাঈদ, আশরাফ উল্লাহ, দোস্ত মোহাম্মদ, খোন্দকার সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ জিয়া উদ্দিন, নজরুল ইসলাম তুহিন, ফজলুল হক মাসুদ, লায়ন আবদুল মান্নান, মহিউদ্দিন জুয়েল, আবুল কালাম, শরিফ গোলাম কিবরিয়া, আমানউল্লাহ পাবলু, আশরাফ আলী, শাহাদাত খোন্দকার, জসীম উদ্দিন, হেলাল খান, আবদুল হান্নান শিবলী, সালাউদ্দিন, নাজমা আক্তার নাজু, আমিনুল ইসলাম রিপন, রিপন ভান্ডারী, আফরোজা জলি ও মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।