বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া অর্থ–সম্পদ অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার জন্য দেশগুলোর সরকারের কাছে অনুরোধ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও দুর্নীতিবিরোধী চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে সম্পদ অবরুদ্ধ করার অনুরোধ করার কথা জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি বলেছে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের অবৈধ সম্পত্তি জরুরি ভিত্তিতে ‘ফ্রিজ’ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
টিআই–ইউকে, ইউকে অ্যান্টি করাপশন কোয়ালিশন, ইন্টারন্যাশনাল লইয়ারস প্রজেক্ট, স্পটলাইট অন করাপশন ও টিআইবি গত ৩০ অগাস্ট এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীকে চিঠি একটি চিঠি পাঠিয়েছে। ‘নতুন বাংলাদেশ’ এর দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত নির্মাণে অবৈধ অর্থ–সম্পত্তির মালিকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে সেখানে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাগুলোর প্রধানরা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যে সকল দেশে অর্থ ও সম্পদ পাচার করা হয়েছে, তাদের সকলেই আমাদের উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার এবং তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ প্রতিশ্রুতির কার্যকর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ সকল দেশকে তাদের এখতিয়ারে থাকা সকল বাংলাদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অবৈধ সম্পদ ফ্রিজ করার জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানাই। পাচারকৃত সম্পদ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ ও অর্থ পাচারকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’