বাংলাদেশ ঐতিহ্যগত শান্তিময় সম্প্রীতির জনপদ

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২১ at ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রত্যেকের অন্তরে মা জননী বিরাজমান। দেবী দুর্গা তাদের কাছে মায়ের প্রতীকী রূপ। এই রূপ অসুর বিনাশী শুভ-শান্তি-কল্যাণ ও মঙ্গলের দীপ শিখা। এই শিখা সকল ধর্মের আলোক-রশ্মি।
বাংলাদেশ ঐতিহ্যগত শান্তিময় সম্প্রীতির জনপদ। এখানে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী মানুষের ধর্মাচরণ পালনের অধিকার আছে। এ দেশে ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার। ঈদ বা দুর্গাপূজা যখন উৎসবে পরিণত হয় তখন ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকে না, ধর্ম নির্বিশেষে সকলে এই উৎসব উদ্‌যাপন করেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ক্ষুণ্ন করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিতে তৎপর। এরা ধর্মীয় জঙ্গিবাদের প্রশ্রয় দাতা। তাদেরকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকৃত ধার্মিক ও মানবিক মানুষের সুদৃঢ় ঐক্যে রুখতে হবে।
তিনি গতকাল শুক্রবার পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে চসিকের তত্ত্বাবধানে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, আবদুস সালাম মাসুম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রেজাউল বারী ভূঁইয়া, আশিকুল ইসলাম, মির্জা ফজলুল কাদের, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ। শেষে মেয়র প্রতিমা বিসর্জন পর্বের সূচনা করেন। তবে প্রতি বছর প্রতিমা বিসর্জনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকলেও এবছর কুমিল্লাসহ জেএমসেন হলে হামলার ঘটনায় মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সার্বিয়ার সহযোগিতা চান ড. মোমেন
পরবর্তী নিবন্ধ‘রাসূল (সা.)-এর আদর্শই মুক্তির একমাত্র পথ’