আগেই অনুমান করা হয়েছিল এ ম্যাচে কোন ফলাফল আসবে না। পুরো ম্যাচে সবচেয়ে ভালো আবহাওয়া ছিল চতুর্থ দিন। কিন্তু এ দিনও খেলা হলো ৬০ ওভারের কম। আর তাতে করেই বোঝা হয়ে গিয়েছিল ফল আসার কোনো সম্ভাবনা নাই। তাই ঝলমলে রোদের মাঝেই দিনের প্রায় দুই ঘণ্টা বাকি থাকতেই ড্র মেনে নেয় নিউজিল্যান্ড ‘এ’ ও বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রকৃতির বিরূপ আচরণে চার দিন মিলিয়ে দুই দলের তিন ইনিংসও শেষ হয়নি। সব মিলিয়ে পতন হয় মাত্র ২২টি উইকেটের। আগের দুই দিনের হতাশা ভুলে ম্যাচের শেষ দিন ৪ উইকেট নেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। তবে সফরকারীদের লিড ঠেকাতে পারেননি। পরে এক সেশনেরও কম ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। মিরপুর শের–ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল টেস্ট ড্র হওয়ায় ট্রফি পেল কিউইরা। সিলেটে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের নাটকীয় ধসে দারুণ জয় পেয়েছিল তারা। চার দিনের সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে প্রথম ইনিংসে ৩৫৭ রান করে বাংলাদেশ। নিক কেলির সেঞ্চুরির সঙ্গে আরও তিনটি ফিফটিতে কিউইরা অলআউট হয় ৩৭৯ রানে। ততক্ষণে শেষ প্রায় সাড়ে তিন দিনের খেলা। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দল ২৪ ওভার ব্যাটিং করে ২ উইকেটে ৮৭ রান করার পর হাত মিলিয়ে নেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। সিরিজে নুরুল হাসান সোহান ছাড়া বাংলাদেশের কেউই তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
বোলারদের দুই ম্যাচেই ইনিংসে ৪টি করে উইকেট নেন নাঈম। প্রথম ম্যাচে সৈয়দ খালেদ আহমেদ প্রথম ইনিংসে ৬টি ও হাসান মুরাদ দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। তবে সার্বিকভাবে কেউই ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে পারেননি। ৪ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করা কিউইরা বাকি ৬ উইকেটে করতে পারে আর ১০২ রান। দিনের শুরুতে সোহানের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন ম্যাট বয়েল। ১২৩ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙার পর সেঞ্চুরি করেন কেলি। সেঞ্চুরি ছুঁয়ে নাঈমের বলে বড় শটের খোঁজে লং অফে ধরা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। পরের ওভারে মিচ হে স্টাম্পড আউট করে স্বাগতিকদের লিড পাওয়ার সম্ভাবনা জাগান নাঈম। তবে ছোট ছোট ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর পেরিয়ে দলকে এগিয়ে দেন ডিন ফক্সক্রফট ও জেডন লেনক্স। নাঈমের ৪ উইকেট ছাড়া সৈয়দ খালেদ আহমেদের শিকার ৩টি। পরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ কিছু শটে ইতিবাচক শুরু করেন এনামুল হক। কিন্তু আগের ইনিংসগুলোর মতোই উইকেট বিলিয়ে দেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। তিন নম্বরে নেমে সাইফ হাসানও হতাশ করেন। পরে আর উইকেট পড়তে দেননি অমিত ও জাকির।