বাংলাদেশ এইচপি দলের অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান জয়ের দারুণ বোলিং নৈপুণ্যে দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে ৫ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে তার দল। বল হাতে ১৩ ওভারে ২১ রানে ৫ উইকেট নেন জয়। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে পাকিস্তান শাহিনসের সাথে দুই ম্যাচের সিরিজ ১–১ সমতায় শেষ করলো বাংলাদেশ এইচপি দলের। অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম চার দিনের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ১৪৮ রানে হেরেছিলো বাংলাদেশ এইচপি দল। ডারউইনে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৯৬ রানের টার্গেটে তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৩৬ রান করেছিলো পাকিস্তান শাহিনস। ফলে জয় থেকে ৬ উইকেট দূরে ছিলো বাংলাদশ। পাকিস্তানের জিততে প্রয়োজন ছিলো ১৬০ রান। গতকাল চতুর্থ ও শেষ দিন বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার রেজাউর রহমান রাজা। ৪৪ রান নিয়ে শুরু করা পাকিস্তানের ওপেনার হাসিবুল্লাহকে ৫১ রানে আউট করেন রাজা। এরপর ওমাইর বিন ইউসুফকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে রাখেন তাইব তাহির। ৪৩ রানে তাহিরকে আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক–থ্রু এনে দেন জয়। কিছুক্ষণ বাদে ইউসুফ (৪৫) আউট হলে ২৩০ রানে সপ্তম উইকেট হারায় পাকিস্তান শাহিনস। কিন্তু অষ্টম উইকেটে এইচপি দলের বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন মুহাম্মদ আলি ও খুররাম শাহজাদ। দু’জনের ৫৭ রানের জুটিতে জয়ের কাছে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ৭ উইকেটে ২৮৭ রান পেয়ে যায় তারা। এ অবস্থায় বল হাতে ভেল্কি দেখান জয়। ৯১তম ওভারে আলি (২১) ও ৯৩তম ওভারে শাহজাদকে (২৮) আউট করে বাংলাদেশ এইচপি দলের জয়ের সম্ভাবনা জাগান জয়। ৯৪তম ওভারে পাকিস্তানের শেষ ব্যাটার ফয়সাল আকরামকে ১ রানে বোল্ড করে করে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত জয়ের স্বাদ দেন বাঁ–হাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। ২৯০ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হারে পাকিস্তান। বাংলাদেশ এইচপি দলের জয় ৫টি, রাজা ৩টি ও মুরাদ ২ উইকেট নেন।
এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে জয় ও আইচ মোল্লার জোড়া হাফ–সেঞ্চুরিতে সব উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান করে বাংলাদেশ এইচপি দল । জয় ৬৯ ও মোল্লা ৫৫ রান করেন। জবাবে ১৭৯ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। এতে প্রথম ইনিংসে ৭৯ রানের লিড পায় বাংলাদেশ এইচপি দল। লিডকে সাথে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ এইচপি দল। ফলে পাকিস্তানকে ২৯৬ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিতে পারে তারা। এই ইনিংসেও জোড়া হাফ–সেঞ্চুরি করেন জয় ও মোল্লা। জয় ৬৫ ও মোল্লা ৫৮ রান করেন।