বাংলাদেশে সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি

হাটহাজারীতে ওলামা পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ

হাটহাজারী প্রতিনিধি | রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

ইজতেমা মাঠে ইবাদতরত ও ঘুমন্ত মুসল্লিদের উপর সাদপন্থীদের বর্বর হামলার হুকুম দাতা ওয়াসিফুল ইসলাম ও আব্দুল হালিম গংকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামের আলেমদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হাটহাজারী ওলামা পরিষদ। তাদের আহ্বানে গতকাল শনিবার হাটহাজারীতে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বাংলাদেশের সকল মসজিদে সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

হাটহাজারী ওলামা পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাফর আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুফতি ও মুহাদ্দিস মুবাল্লিগে ইসলাম আল্লামা মুফতি জসিম উদ্দিন।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন হাটহাজারী ওলামা পরিষদের সহসভাপতি ও হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, সহসভাপতি মাওলানা মীর ইদরিস নদভী, মাওলানা মীর কাসেম, মাওলানা মুফতি শিহাব উদ্দিন, মাওলানা হাবিবুল হক বিন খালেদ, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মাওলানা শফিউল্লাহ, মাওলানা হাফেজ আলী আকবর, মাওলানা মাহমুদ হোসাইন, মাওলানা নছিম উদ্দিন, মাওলানা নজরুল ইসলাম ওমানী, মাওলানা মুফতী মাহমুদ হাসান ফয়জী, মাওলানা নিজাম সাইয়িদ, মো. ফোরকান সিকদার, মাওলানা ইকবাল মাদানী, মাওলানা আসাদ উল্লাহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা সরকারের কাছে বাংলাদেশে সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধসহ নিন্মুক্ত দাবি পেশ করেন. ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গির মাঠে ঘুমন্ত নিরীহ ৫ জন মুসল্লিকে নৃসংশভাবে হত্যাকারী ভারতীয় দালাল সাদপন্থীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করতে হবে। ২. কাকরাইল মারকাজ, চট্টগ্রাম লাভলেইন মারকাজসহ সারা বাংলাদেশের সকল মসজিদ থেকে ভারতীয় এজেন্ট সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। ৩. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১ নম্বর রোড় সংলগ্ন মামুন সেন্টার থেকে সাদপন্থীদের উচ্ছেদ করতে হবে। ৪. ইজতেমা মাঠে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া চট্টগ্রাম শহর ও হাটহাজারীতে লুকিয়ে থাকা খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। ৫. কাকরাইল মসজিদ ও ইজতেমা ময়দান পরিপূর্ণভাবে আলেমদের তত্ত্বাবধানে দিতে হবে। ৬. বিশ্ব ইজতেমা শুরায়ে নেজাম (আলেমদের) অধীনে একটিই হবে। সাদপন্থীদের কোনো ইজতেমা করতে দেয়া যাবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
পরবর্তী নিবন্ধমহেশখালীতে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ছয়