বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে মনোনয়ন ট্রাম্পের

| বৃহস্পতিবার , ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ‘অ্যাম্বাসেডর এক্সট্রাঅর্ডিনারি অ্যান্ড প্লেনিপটেনশিয়ারি’ হিসেবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে মনোনয়ন দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট কাউকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দিলে তা অনুমোদনের জন্য সেনেটে পাঠানো হয়। সেনেটের অনুমোদন পেলে নতুন রাষ্ট্রদূতের আনুষ্ঠানিক নিয়োগ চূড়ান্ত হয়। খবর বিডিনিউজের।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেনেটের অনুমোদন পেলে ঢাকা মিশনে তিনি হবেন পিটার হাসের উত্তরসূরি। পিটার হাস ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তদশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে অবসরে যান হাস। বর্তমানে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। তিনি ২০২৫ সালের ১১ জানুয়ারি এ দায়িত্ব নেন।

ক্রিস্টেনসেন সর্বশেষ, ২০২২ সালের অগাস্ট থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক কৌশলগত প্রতিরোধ মিশনের আন্তর্জাতিক প্রভাব নিয়ে পরামর্শ দিতেন।

দুই দশকের বেশি সময়ের কূটনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি ওয়াশিংটন ও বিদেশে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। মার্কিন রাজনৈতিকসামরিক ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অস্ত্র হস্তান্তর দপ্তরের উপপরিচালক, উত্তর কোরিয়া নীতির জন্য বিশেষ প্রতিনিধির বিশেষ সহকারী এবং যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক উপকমিটিতে পিয়ারসন ফেলো হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ক্রিস্টেনসেন ম্যানিলা, সান সালভাদর, রিয়াদ ও হো চি মিন সিটিতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোতেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীতে স্ত্রী হত্যার ঘটনা রহস্যে ঘেরা
পরবর্তী নিবন্ধস্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার পর মরদেহ ঢুকিয়ে রাখা হয় বাথরুমে