বিশ্বের দুই বৃহত্তম বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, ডিপি ওয়ার্ল্ড ও এ. পি. মোলার–মেয়ার্স্ক বাংলাদেশের শিপিং শিল্পে বড় আকারের বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে নতুন বন্দর নির্মাণে সহায়তা করতে এবং বাংলাদেশকে একটি প্রধান বৈশ্বিক রপ্তানি কেন্দ্রে পরিণত করতে চায়। প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আজ (গতকাল) দাভোসে ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম এবং এ.পি. মোলার–মেয়ার্স্ক চেয়ারম্যান রবার্ট মোলার উগলা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে এই প্রস্তাব দেন। ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও জানিয়েছেন, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজজট কমাতে এবং নির্গমন হ্রাস করে বন্দরটির দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিউ মুরিং কন্টেনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চায়। সংযুক্ত আরব আমিরাত–ভিত্তিক এই লজিস্টিক কোম্পানির সিইও বলেন, নিউ মুরিং কন্টেনার টার্মিনালে বিনিয়োগ বাংলাদেশে আরও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এবং দূষণ হ্রাস করতে সহায়ক হবে।
সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম উল্লেখ করেন যে ডিপি ওয়ার্ল্ড যেখানে বিনিয়োগ করেছে, সেখানেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটেছে। তিনি জানান, ২০২২ সালে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তখনকার সরকার তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। তিনি আরও জানান, তারা চট্টগ্রাম বন্দরে একটি ডিজিটাল অনলাইন কাস্টমস পদ্ধতি চালু করতে চান, যা দুর্নীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাবে। তিনি আরও জানান, তারা বাংলাদেশের ইনল্যান্ড কন্টেনার ডিপোগুলোতেও বিনিয়োগ করতে চান। খবর বাসসের।
প্রধান উপদেষ্টা সুলতান আহমেদ বিন সুলাইমকে বলেন, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এবং বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে আরও বন্দর নির্মাণ করতে চায়। তিনি বলেন, আমাদের এটি করতেই হবে কারণ আমাদের ভবিষ্যৎ চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে জড়িত। আমরা এটিকে অঞ্চলটির সবচেয়ে বড় বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা বাড়াতে চায়, কারণ বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে এটি উত্তর–পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানের জন্য একটি আঞ্চলিক রপ্তানি হাব হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দ্রুত কাজ করতে হবে, কারণ সময় হচ্ছে একটি খরচ।