নগরীর কোরবানিগঞ্জ বলুয়ারদীঘি পাড়স্থ খানকাহ এ কাদেরীয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়ায় গাউসে জমান আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.) এর মাসিক ফাতেহা, আনজুমান ট্রাস্টের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মরহুম মোহাম্মদ মহসিনের জ্যেষ্ঠ কন্যা মরহুমা মায়মুনা বেগম উর্মির চেহলাম ও মেয়রের দায়িত্বপালন উপলক্ষে শোকরানা মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার ও মূলধারার ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে আওলাদে রাসুল আল্লামা তৈয়ব শাহ (র.) এর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি আওলাদে রাসুল আল্লামা সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রা.) এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, এ মহান সুফি সাধকের আগমন বাংলার মুসলমানের জন্য ছিল আল্লাহর বিশেষ রহমত। তিনি সুদূর পাকিস্তান হতে বার্মা হয়ে বাংলাদেশে আগমন করে ইসলামের প্রচার প্রসারের পাশাপাশি জামেয়া ও খানকাহ শরিফ প্রতিষ্ঠা করে আহলে সুন্নাতের আক্বিদাকে মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করেছেন। এসময় মেয়র একটি পরিচ্ছন্ন, আধুনিক ও জনবান্ধব চট্টগ্রাম মহানগরকে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, নগরবাসীর কষ্ট লাঘবে এবং একটি সুন্দর নগর প্রতিষ্ঠায় সাধ্যেও সবকিছু করবেন। তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স নগরবাসীর জন্য সহনীয় ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, সিটি কর্পোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করে নাগরিকদের সেবার মান বাড়ানো হবে। গত ১৮ নভেম্বর খানকাহ শরীফের মতোয়াল্লী হাজী নিয়াজ আহমদ দুলালের সভাপতিত্বে মাহফিলে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জামেয়ার শিক্ষক মাওলানা নঈমুল হক নঈমী, রাজনীতিক জাকির হোসেন, খন্দকার নুরুল ইসলাম, আনজুমান ট্রাস্টের প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স সেক্রেটারি গোলাম মহিউদ্দিন, খানকাহ শরীফের মতোয়াল্লি সাব্বির আহমদ, নুর আহমদ পিন্টু, সিদ্দিক আহমদ, আবুল কাসেম, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, মাওলানা হারুনুর রশীদ চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল কাদের ও মাস্টার হাবিবুল্লাহসহ নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী (রহ.) এর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মাহফিল শেষে সালাতুস সালাম, দোয়া ও মোনাজাতে দেশ এবং জাতির কল্যাণ কামনাসহ মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সাফল্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।