বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

লিপি বড়ুয়া | বৃহস্পতিবার , ১৮ মার্চ, ২০২১ at ৬:১২ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বসভায় পরিচিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম অপরিহার্যভাবে বিনম্র শ্রদ্ধায় বারংবার উচ্চারিত হবে বাঙালি জাতিসত্তার ইতিহাসে। কে জানতো টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নেয়া এই শিশুটি যৌবনে এসে এই দেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বদ্ধপরিকর থাকবে। সেই বজ্রকন্ঠ, সেই দীপ্ত চেতনা, দেশের মানুষের প্রতি অদম্য ভালোবাসা অন্তরে যিনি সর্বদা লালন করতেন তিনি আর কেউ নন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই লাল সবুজ পতাকা। লক্ষ কোটি বীর সেনানীর আত্নত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমার বাংলার স্বাধীনতা। হাজার হাজার বীরঙ্গনাদের নির্মম আত্নত্যাগের বিনিময়ে পেয়েছি স্বাধীনতা। স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস যেমন আমাদের ব্যতীত করে তেমন আবার অনুপ্রাণিত ও করে মনে সাহস যোগায় এই ভেবে যে আমরা লড়াকু জাতি। আমরা লড়াই করে বাচতে পারি। আর আমাদের এই স্বাধীন হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই আজন্ম আমরা ঋণী থাকব সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি।
আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর এবং মুজিব শতবর্ষ উদযাপনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল বীর শহীদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে উজ্জীবিত হোক অনুপ্রাণিত হোক এটাই প্রত্যাশা। মুজিবীয় আদর্শে লালিত হোক নতুন প্রজন্ম। স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জেনে দেশকে ভালোবেসে বিশ্বসভায় দেশের নাম উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করে তুলক এটাই নতুন প্রজন্মের কাছে চাওয়া। আমাদের একটি স্বধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে এটা আমাদের বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। দেশকে ভালোবাসব দেশের ঐতিহ্য রক্ষা করব দেশের মানুষকে ভালোবাসব এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনা ও আমাদের সামাজিক পরিবর্তন
পরবর্তী নিবন্ধস্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, আমাদের অর্জন এবং নানা প্রসঙ্গ