তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনন্য উদাহরণ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে, এটি অনেক দেশের জন্য উদাহরণ। পাকিস্তান রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার মূল কারণ হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্র ব্যবস্থা হচ্ছে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। এই সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে শত্রু হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। সেই সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনা করার জন্যই আমরা মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান যুদ্ধ করে সবার মিলিত রক্ত স্রোতের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাঙ্গুনিয়ায় শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেক ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি উত্তম কুমার শর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো.ভিসি অধ্যাপক বেনু কুমার দে, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, কঙবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী (উপ সচিব) হিল্লোল বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার ইউনুস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজীব চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিছ আজগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি অসীম বরণ সুশীল। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার, এই চেতনা নিয়েই বাংলাদেশে আমরা বাঙ্গালিরা মিলেমিশে একাকার হয়ে বসবাস করছি। সেজন্য আমাদের দেশে যখন ঈদ উৎসব হয়, সেই উৎসবের আনন্দ শুধু মুসলিমদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, সেই আনন্দ সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। একইভাবে যখন বাংলাদেশে পূজা উৎসব হয়, তখন সেই আনন্দ শুধুমাত্র হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, সেই আনন্দ সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সঞ্চারিত হয়।
তিনি বলেন, দেশে একটি পক্ষ আছে, যারা মনে করে তাদের প্রথম পরিচয় হচ্ছে ধর্মীয় পরিচয়। আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি, আমাদের প্রথম পরিচয় হচ্ছে আমরা বাঙালি এবং দ্বিতীয় পরিচয় হচ্ছে কে কোন ধর্মের মানুষ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিসহ তাদের মিত্র কিছু রাজনৈতিক দল আছে, যারা মনে করে তাদের প্রথম পরিচয় হচ্ছে তারা কে কোন ধর্মাবলম্বী। দ্বিতীয় পরিচয় হচ্ছে তারা কি বাংলাদেশী না বাঙালি, এই নিয়ে তারা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে থাকেন। এটিই হচ্ছে তাদের সাথে আমাদের মৌলিক পার্থক্য।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, সাধারণ সম্পাদক অসীম দেব, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট পঙ্কজ কুমার চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি শৈবাল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সুপায়ন সুশীল প্রমুখ।