বাংলাদেশের সাথে কনেক্টিভিটি বাড়াতে চায় নেপাল

বন্দর চেয়ারম্যান ও চেম্বার সভাপতির সাথে রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ৬ জানুয়ারি, ২০২১ at ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের সাথে সড়ক, রেলপথ ও ওয়াটার ওয়েজ কনেক্টিভিটি বাড়াতে চায় নেপাল। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চায় দেশটি। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন শেষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশটির রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মিশ্রা এই প্রস্তাব। তিনি বলেন, কলকাতা বন্দর থেকে বাংলাদেশের বন্দরসমূহ তাদের জন্য ভবিষ্যতে অনেক সুবিধাজনক হবে। তিনি বাংলাদেশের সাথে কৃষি, প্রযুক্তি, পর্যটন, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ দুই সদস্যের নেপালী প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান। এসময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (এডমিন এন্ড প্ল্যানিং) মো. জাফর আলম বন্দরের সার্বিক কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন।
সভায় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর এম নিয়ামুল হাসান (এল), সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, পরিচালক (নিরাপত্তা) লেঃ কর্নেল মোস্তফা আরিফ উর রহমান খান, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, সচিব মো. ওমর ফারুক, চীফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
চেম্বার সভাপতির সাথে মতবিনিময় : এর আগে গত ৪ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন নেপালের রাষ্ট্রদূত। এ সময় চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ, মো. আবদুল মান্নান সোহেল, তাজমীম মোস্তফা চৌধুরী ও সাকিফ আহমেদ সালাম, রাষ্ট্রদূতের সেক্রেটারি রিয়া সেট্রি এবং চেম্বার সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত দীর্ঘমেয়াদী রোড ম্যাপ প্রণয়ন, আকাশ পথে বিমানের সংখ্যা বৃদ্ধি, সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন, চিলমারীর মাধ্যমে রেল সংযোগ স্থাপন, নদী পথে ভারতের গঙ্গা হয়ে বাংলাদেশের পদ্মা নদী দিয়ে পণ্য পরিবহন, বর্ষা মৌসুমে পানি হতে উৎপন্ন বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা এবং শীত মৌসুমে একইভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা, গ্রীষ্মের সময় নেপালে উৎপাদিত সবজি, ফলমূল বাংলাদেশ কর্তৃক আমদানির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হবে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া পিপল টু পিপল যোগাযোগ বৃদ্ধি, কৃষি ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করে উভয় সরকার প্রদত্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হতে পারেন বলে উল্লেখ করেন।
এ সময় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম, চেম্বারের কর্মকাণ্ড এবং নেপালের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরেন। মতবিনিময় শেষে রাষ্ট্রদূত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পারমানেন্ট এঙিবিশন হল পরিদর্শন করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচলতি মাসেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি চান প্রশাসক
পরবর্তী নিবন্ধপ্রতিটি দিন নিজের উন্নতি করার নতুন সুযোগ