বাংলাদেশের ‘শত্রুরা’ আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সময় যতই যাচ্ছে দেশে ‘নৈরাজ্য’ সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আজকের যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, যখন একটা অনিশ্চয়তা হতাশার মধ্যে চলে যাচ্ছে এবং প্রত্যেকটি মানুষ বারবার চিন্তা করছে কি হবে? কি হতে পারে? খবর বিডিনিউজের।
আমরা দেখছি যে, বাংলাদেশের শত্রুরা তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে, তারা মাথা তুলে উঠতে শুরু করেছে। আমরা দেখছি যতই সময় যাচ্ছে ততই বাংলাদেশে একটা নৈরাজ্যিক পরিস্থিতি, পুরোপুরি একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা দেখছি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সেই অপপ্রচার, মিথ্যা তথ্য প্রচার করে দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া চলছে। এরকম পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বরকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ দিবস হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেভাবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যেভাবে আমাদেরকে পরিচালিত করেছিলেন দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রামে এবং পরিবর্তীকালের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। একইভাবে আমরা দেখছি যে, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব, তিনি সেই সুদূর লন্ডন থেকে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবার চেষ্টা করছেন, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবার কাজ করে চলেছেন, আমাদের দলকে পরিচালিত করছেন এবং জাতিকে নতুন আশা জোগাচ্ছেন।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে দল ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা হয় দুপুরে। এই সভায় বিএনপি মহাসচিব সভাপতিত্ব করেন। সভার পরে অন্য নেতাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মির্জা ফখরুল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের প্রেক্ষাপট এবং জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রের দায়িত্বে আসার পটভূমি তুলে করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তার সেই শাসন আমলে দেশ একটা কর্মযজ্ঞে নেমে পড়েছিল, সর্বজন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আবার সেই বাংলাদেশের শত্রুরা নির্মমভাবে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে হত্যা করে এবং হত্যার মধ্য দিয়ে আবার সেদিন একটা কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়।
একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ অর্থনীতি, শিক্ষা, শিল্প, কৃষি গণমাধ্যম ও নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমানের ‘ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি’ তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। ৭ নভেম্বর আমাদের রাজনৈতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বলেই আমরা এই দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে চাই। ৭ নভেম্বরের যে দর্শন সেই দর্শনকে সামনে নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই, বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব–উন–নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।












