সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের আঙিনায় দুই দলের সবশেষ লড়াইয়ের স্মৃতি ভুটানের জন্য ভীষণ হতাশার, ৮–০ গোলের হার। গত জুলাইয়ে দুই প্রীতি ম্যাচেও সাবিনা–সাগরিকাদের বিপক্ষে হেরেছিল তারা। এমনকি সাফে কখনই বাংলাদেশকে হারাতে পারেননি ভুটান। পুরোনো সব হতাশা মুছে এবার ভিন্ন গল্প লেখতে চান দলটির অধিনায়ক পেমা চোডেন তিসেরাং। বাংলাদেশের বিপক্ষে না পারার বৃত্ত ভাঙতে আগামীকাল রোববার নেপালের কাঠমান্ডু দশরথ স্টেডিয়ামে নামবে ভুটান। অপরাজিত থেকে এই প্রথম সাফের গ্রুপ পর্ব পেরুতে পারা দলকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বলে মনে করেন পেমা। ‘গত কয়েক বছর ধরে মেয়েদের ফুটবলে আমাদের ফেডারেশনের বিনিয়োগের প্রতিফলন এটি। আমরা ফল পাচ্ছি এবং এই প্রথম আমরা গ্রুপ পর্ব পেরিয়েছি কোনো ম্যাচ না হেরে।’ আবারও বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়াটা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ মানছেন পেমা। ২৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার যদিও এবার ভিন্ন গল্প লিখতে চান, তবে বাংলাদেশকে সমীহও করছেন ভীষণভাবে। ‘ভিন্ন গল্প লেখার সম্ভাবনা আছে। আমরা জুলাইয়ের উইন্ডোতে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছি। তাদের কাছ থেকে ওই দুই ম্যাচে অনেক কিছু শিখেছি। আমি মনে করে, আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে ভুটানে যে দুটি ম্যাচ খেলেছিলাম, ওই দুই ম্যাচে নিজেদের সমর্থকদের আমরা গ্যালারিতে পেয়েছিলাম, যেটা আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতাও তাদের বিপক্ষে আমাদের সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। অবশ্যই আমাদের তাদের বিপক্ষে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। ভারতকে হারিয়ে এসেছে তারা, ভারত সহজ প্রতিপক্ষ নয়। কোচও আমাদের বলেছেন, তোমরা যদি সাফ চ্যাম্পিয়ন হতে চাও, তাহলে ভারত, বাংলাদেশ, স্বাগতিক নেপালের মতো দলকে হারাতে হবে।’