বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার কমনওয়েলথ মহাসচিবের

| মঙ্গলবার , ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ at ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ

কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি বচওয়ে বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে ও ভবিষ্যতেও কীভাবে কমনওয়েলথ বাংলাদেশের মানুষকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করছেন।।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মত সরকারি সফরে আসা শার্লি বচওয়ে আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতি কমনওয়েলথ পরিবার দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি ঢাকাস্থ হাই কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে কমনওয়েলথ সনদের আলোকে বাংলাদেশকে সমর্থন আরো জোরদার করা নিয়ে আলোচনা করেন।

মহাসচিব সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভেরিফায়েড পেইজে লিখেছেন, ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনারদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের উপকারে কমনওয়েলথের ভূমিকা বাড়ানোর বিষয়ে সফল আলোচনা হয়েছে। খবর বাসসের।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, ব্রিটেনের হাইকমিশনার সারাহ কুক, কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান, পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপালা উইরাক্কোডি এবং মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রশীদ।

শার্লি বচওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য সিইসিকে ধন্যবাদ জানান তিনি। কমনওয়েথ মহাসচিব বলেন, নির্বাচনে বাংলাদেশি নাগরিদের পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কমনওয়েলথের করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেছি। তিনি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। বচওয়ে বলেন, কমনওয়েলথ সনদ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে তাদের মতামত শোনা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাতে আইনশৃঙ্খলা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন ব্যবস্থায় বিচার বিভাগের ভূমিকায় তার নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের বিচারিক সক্ষমতা বাড়ানো এবং ভালো অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার মাধ্যমে সহায়তা অব্যাহত রাখতে কমনওয়েলথের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশে সফরে তার প্রথম বৈঠক ছিল যুবনেতাদের সঙ্গে। মহাসচিব বলেন, তাদের চিন্তাচেতনা এবং গণতন্ত্রের প্রতি প্রত্যাশা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ন্যায়সঙ্গত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়তে কমনওয়েলথ বাংলাদেশের তরুণদের পাশে থাকবে। মহাসচিব কমনওয়েলথের নতুন কৌশলগত পরিকল্পনার বিষয়েও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এই পরিকল্পনায় গণতন্ত্রকে প্রধান স্তম্ভ হিসেবে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের আশা পূরণে লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা সবচেয়ে কার্যকর করার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।

সমপ্রতি কমনওয়েলথের নির্বাচন পূর্বমূল্যায়ন দলের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফর করেন। তারা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের পূর্বপরিস্থিতি যাচাই করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইসিইউ রোগীর ৪১ শতাংশের শরীরে কাজ করছে না অ্যান্টিবায়োটিক
পরবর্তী নিবন্ধসেন্টমার্টিন দ্বীপের মাস্টার প্ল্যান নিয়ে মতামত পাঠানোর আহ্বান