বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ আয়োজন ভুল সিদ্ধান্ত : অসি অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি

স্পোর্টস ডেস্ক | মঙ্গলবার , ২০ আগস্ট, ২০২৪ at ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ

নিরাপত্তা শঙ্কায়’ নারী টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরটি বাংলাদেশে আয়োজন না করার পক্ষে মত দিয়েছেন অ্যালিসা হিলি। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের মতে এ মুহূর্তে ক্রিকেট নিয়ে ভাবার অবস্থায় নেই বাংলাদেশ। আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ বাংলাদেশ। কিন্তু দেশটিতে এখন চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। ছাত্রজনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে থেকে অস্থিতিশীল অবস্থায় আছে দেশ। ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যেও নেই স্থিতিশীলতা। যার কারণে এখানে টুর্নামেন্টটি আয়োজন এখন ঘোরতর অনিশ্চয়তায়। ছাত্রজনতার আন্দোলনে শতশত মানুষের প্রাণ গেছে। অনেক মানুষ এখনও হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। কঠিন এই সময়ে বাংলাদেশের সবার এখন এসব মানুষের পাশে থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন হিলি। এই ঘোলাটে পরিস্থিতিতে এখানে বিশ্বকাপ আয়োজন কঠিন মনে হচ্ছে তার। আসরটি বাংলাদেশ থেকে সরে গেলে আপাতত স্বাগতিক হওয়ার সম্ভাব্য লড়াইয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জিম্বাবুয়ে। দুই দেশের কোনোটিই এই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তারা টুর্নামেন্ট আয়োজনে আগ্রহের কথা আইসিসিকে জানিয়েছে। আইসিসি যদিও শুরুতে প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতকে। তবে ভারতীয় বোর্ডের সচিব জয় শাহ ওই সময়ের সম্ভাব্য বৃষ্টির মৌসুমের কথা ভেবে এবং আগামী বছর নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভারতে হওয়ার কারণ দেখিয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে আইসিসি। এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ আরও অনেক দেশের সরকার বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে। সব মিলিয়ে তাই, এখানে বিশ্বকাপ আয়োজনকে যথাযথ মনে হচ্ছে না হিলির। আমার মনে হচ্ছে, এই মুহূর্তে সেখানে একটি ক্রিকেট ইভেন্ট আয়োজন ভীষণ কঠিন হবে। জীবনমৃত্যুর লড়াইয়ে থাকা মানুষদের সাহায্য করার জন্য তাদের প্রত্যেককে এখন প্রয়োজন। একজন মানুষ হিসেবে এই মুহূর্তে সেখানে খেলার বিষয়টি আমার কাছে ঠিক মনে হচ্ছে না। আমার মতে এটা ভুল সিদ্ধান্ত হবে। তবে এসব আমি আইসিসির ওপর ছেড়ে দেব। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার সোফি মলিনিউ গত রোববার বলেছেন, সঠিক সিদ্ধান্তটির অপেক্ষায় আছেন তারা। আমরা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা আইসিসির সঙ্গে কাজ করছে। আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে তারা সবার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। তবে যেখানেই বিশ্বকাপ হোক না কেন, মানিয়ে নিতে আত্মবিশ্বাসী হিলি। বাংলাদেশের কন্ডিশন সম্পর্কে কদিন আগেই অভিজ্ঞতা নিয়ে গেছে তারা। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশে তিনটি করে ওয়ানডে ও টিটোয়েন্টি খেলেছিল দলটি। বিষয়টি নিয়ে তেমন একটা ভাবছেন না ইংল্যান্ড অধিনায়ক হিদার নাইটও। তার মতে, বাংলাদেশের পরিবর্তে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসরটি হলে কন্ডিশনের খুব বেশি পার্থক্য দেখা যাবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীকের সাথে ফ্রেন্ডস ক্লাব সদস্যদের মতবিনিময়
পরবর্তী নিবন্ধআন্দোলনে নিহতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানালেন হাথুরুসিংহে