বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি। বুধবার ওয়াশিংটন ফরেন প্রেস সেন্টারের ব্রিফিংয়ে এমনটি জানান তিনি। খবর বাংলানিউজের।
এক সাংবাদিক কিরবির উদ্দেশে দুটি প্রশ্ন ছুড়ে দেন। প্রথম প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, গণতন্ত্র, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন ও মানবাধিকারের নামে তারা ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পেতে চায়। তারা হামলা এবং অন্যান্য দেশ ধ্বংসের অজুহাত তৈরি করছে। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
দ্বিতীয় প্রশ্নে ওই সাংবাদিক বাংলাদেশের গণতন্ত্র ইস্যুতে নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূসের ‘বিচারিক হয়রানি’ ও ১৮০ বিশ্বনেতার চিঠির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। অধ্যাপক ইউনূসের বিষয়ে কিরবির অবস্থান জানতে চান তিনি।
উত্তরে জন কিরবি বলেন, আমরা স্পষ্টতই বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন করি। আমরা বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছাকে সমর্থন করি। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তাকে সমর্থন করি। এটি সম্পর্কে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। আমরা বাংলাদেশি জনগণের আশা– আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে সেই আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সমর্থন করার চেষ্টা করবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী, নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূসের ‘বিচারিক হয়রানি’ ও ১৮০ বিশ্বনেতার চিঠির প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান জন কিরবি।
নয়াদিল্লিতে জি–২০ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অংশগ্রহণ এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় আসিয়ান ও পূর্ব এশিয়া সম্মেলনে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের অংশগ্রহণ নিয়ে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।