দুটি প্রীতি ম্যাচ নিয়ে দুই দলের ভাবনা ছিল দুই রকম। বাংলাদেশ চেয়েছিল দুটিই জিতে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ড্রয়ে পট–থ্রি–তে থাকতে, সেটা পূরণ হয়নি। মালদ্বীপের মূল লক্ষ্য ছিল, এক বছরের বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরা এবং উপলক্ষটা রাঙানোর। সফর শেষে দলের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত দলটির কোচ আলি সুজেইন প্রশংসা করেন বাংলাদেশের খেলার ধরনেরও। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে ২–১ গোলে হারে মালদ্বীপ। প্রথম ম্যাচে ১–০ গোলে জিতেছিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচেও শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল মালদ্বীপ, কিন্তু আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের খেলার ধরণ মনে ধরেছে আলি সুজেইনের। ‘ভালো একটা ম্যাচ হয়েছে, আমাদের দিক থেকে আমরা কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলাম, বিরতির পর তারা ভালো খেলেছে। ঘুরে দাঁড়ানোয় তাদেরকে অভিনন্দন। ‘এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো জয়। আমিও আশা করি, গণমাধ্যমও বাংলাদেশের এই জয় নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করবে। তারা ভালো করেছে, ভালো খেলেছে। আমরাও চেষ্টা করেছি দুই ম্যাচ জেতার, কিন্তু পারিনি। বাংলাদেশের খেলার স্টাইলের প্রশংসা করি আমি।’ লম্বা সময় পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরতে পেরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকেও (বাফুফে) ধন্যবাদ জানালেন সুজেইন। বললেন, এখন আশা দেখছেন তিনিও। ‘বাফুফেকে ধন্যবাদ আমাদেরকে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আপনারা জানেন, এক বছরের বেশি সময় ফুটবলের বাইরে থাকার পর তারা আমাদের প্রাণ ফিরে পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। আমার মনে হয়, মালদ্বীপের অনেকেই মনে করে, আমরা ভালো খেলেছি এবং আমাদের সুযোগ আছে আরও উন্নতি করার। এটা আমাদের এখন আশা দেখাচ্ছে।’