মিরপুরের ‘ স্লো এন্ড লো উইকেটে‘ টানা খেলার পর যখন দেশের বাইরে সিরিজ খেলতে যায় টাইগাররা, তখনই টের পাওয়া যায় বাস্তবতা। ভিন্ন ধরনের উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেগ পেতে হয় ক্রিকেটারদের। যার প্রমাণ মিলছে এবারের বিশ্বকাপেও। গত বৃহস্পতিবার যেমন ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হারের পর সহঅধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বললেন আমাদের ভালো উইকেটে উচিত। সেই সুর ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের অবকাঠামোগত পরিবর্তনের কথা বললেন সাবেক পাকিস্তানি ব্যাটার শোয়েব মালিক। পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল ‘এ‘ স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টানা হারের কারণ খুঁজে বের করেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামও। বিপিএল নিয়মিত খেলায় মালিকের কাছ থেকে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, ঘরোয়া লিগে তরুণ প্রতিভা তার চোখে পড়েছে কি না। মালিক বলেন প্রতিভা আছে। অনেক তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। তবে যারা বিশ্বকাপে খেলছে তারাই ওদের সেরা। আমরা যখন লিগ খেলি সেখানে এরাই ধারাবাহিক পারফর্ম করে। তবে লিগগুলো টি–টোয়েন্টি সংস্করণে হয়। টি–টোয়েন্টিতে অনেক সময় ছোট পারফরম্যান্সও অনেক বড় হয়ে যায়। দলগুলো যখন বাংলাদেশে খেলতে যায়, তখন বাংলাদেশের কন্ডিশনে ভালো করার চ্যালেঞ্জ থাকে। ঘরের মাঠে টার্ন থাকে, বল নিচু হয়ে আসে। যদি মিরপুরে খেলি তখন অনেক সময়তো ১১০ রানই করা কঠিন হয়ে যায়। বল স্পিন ও সিম দুটোই। মিরপুরের তুলনায় চট্টগ্রামের কন্ডিশন ভালো। বড় টুর্নামেন্টে ভালো করতে হলে বাংলাদেশের সব ধরনের উইকেটে খেলার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। মালিক বলেন আমার কাছে মনে হয় দলগুলো যখন সফর করতে চায়, তাদেরকে ভালো কন্ডিশন দেওয়া উচিত। আরেকটা জিনিস হলো বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো স্টেডিয়ামগুলোতেও একই উইকেট থাকে। তাদের যে অবকাঠামো আছে সেটা আরও উন্নত করতে হবে। যাতে ব্যাটাররা লম্বা ইনিংস খেলতে পারে। ছোট ছোট পারফরম্যান্স ঠিকই আসছে। যেমন উপরের দুই ব্যাটার ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে। কিন্তু এরপর যে মোমেন্টাম ছিল সেটা টেনে নিতে পারেনি। সব কন্ডিশনে না খেলার কারণে এমনটা হয়েছে। মিরপুরের কঠিন উইকেটের কারণেই বাংলাদেশি ব্যাটাররা বেশি ডটবল খেলছেন বলে মনে করেন মালিক। তিনি বলেন তাদের অবকাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে। উইকেটগুলো এমন কঠিন থাকে যে ডট বল খেলতেই হয়। ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে গিয়ে সেট হতে পারে না। সে কারণে ডট বল খেলে উইকেট বোঝার চেষ্টা করে। এরপর বাউন্ডারি থেকে রান করার চেষ্টা করে। জাতীয় দলেও খেলার ঠিক একই ধরন দেখা যায়।