বিশ্বজুড়ে এই করোনা মহামারীর মধ্যেই বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির অধিকাংশ সূচক ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সমীকরণ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়,গত সাড়ে তিন মাসে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়াও রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলার।ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার, বৈদেশিক লেনদেনে বড় উদ্বৃত্ত ধরে রেখেছে বাংলাদেশ গত তিন মাসে রফতানি আয় ১০ বিলিয়ন ডলার, দুই মাসেই লক্ষ্যমাত্রার ৩৭ শতাংশ সঞ্চয়পত্র বিক্রি, প্রণোদনায় বেসরকারি খাতের ঋণ বাড়ছে পাশাপাশি কমেছে আমদানি ব্যয়। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের সফলতা অভাবনীয়। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো।
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে, মাথাপিছু আয় বাড়ছে, বাড়ছে গড় আয়ু, অর্থনীতির আকার বাড়ছে। বাড়ছে বাজেটের আকার, বাজেট বাস্তবায়নে পরনির্ভরতাও কমছে। অবকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে। বড় আকারের প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতাও বাড়ছে। বাংলাদেশ আকাশে স্যাটেলাইট উড়িয়েছে। বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে। কৃষি উৎপাদন বেড়েছে। তথ্য প্রযুক্তি খাতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
কিন্তু এর বিপরীতে দুর্নীতি কমেনি। ব্যাংকিং খাতে লুটপাট বেড়েছে। বেড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। ধনী আর গরিবের বৈষম্য বেড়েছে। বেড়েছে সার্বিক অর্থনৈতিক বৈষম্য। দেশের মোট সম্পদের বড় অংশ কিছু মানুষের হাতে পুঞ্জীভূত।
দুর্নীতি বাংলাদেশের জন্য একটি ভয়াবহ সমস্যা।এ ব্যাপারে আলোচিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক এ সফলতা ধরে রাখতে হবে এবং বহুমাত্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সফলতা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। বিশ্ব দরবারে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বাংলাদেশ।
মামুন হোসেন আগুন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা