নিজেদের মাঠে আগের দুই সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। এবার নিজেরাই এক রকম হোয়াইট ওয়াশ হলো। যদিও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। পরের দুই ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে ২–০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড। গতকাল মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররা দিয়েছে দৈন্যতার পরিচয়। বোলাররা তাদের দায়িত্ব কিছুটা হলে পালন করতে সক্ষম হয়। গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচে শান্ত, মুশফিকদের দলে ফিরিয়েও নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে পারেনি স্বাগতিকরা। ফলে বিশ্বকাপের মাত্র কদিন আগে চরম হতাশার এক সিরিজ শেষ করতে হলো বাংলাদেশ দলকে। ১৫ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের সেরা প্রস্তুতির জন্যই এই সিরিজের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সে প্রস্তুতিতো হলোইনা উল্টো হতাশা নিয়ে যেতে হচ্ছে বিশ্বকাপে।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই ধাক্কা খায়। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরেছেন অভিষিক্ত জাকির হাসান। করেন ১ রান। পরের ওভারে ফিরেন তানজিদ হাসান তামিম। দুই ওপেনার যখন ফিরেন দলের রান তখন মাত্র ৮। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অপর প্রান্তে কেবলই আসা যাওয়া করেছেন বাকিরা। তাওহিদ হৃদয় ফিরেছেন ১৮ রান করে। অভিজ্ঞ মুশিফিকুর রহিমও ফিরেছেন সমান ১৮ রান করে। পঞ্চম উইকেটে মাহমুদ উল্লাহ কিছুটা সঙ্গ দিতে পেরেছেন শান্তকে। দুজন মিলে ৪৯ রান যোগ করেন। আগের ম্যাচে ৪৯ রান করা মাহমুদউল্লাহ ফিরেছেন ২১ রান করে। এরই মধ্যে বেশ আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। নিজের আগের দুই ইনিংসেও (এশিয়া কাপে ৮৯ ও ১০৪) রান করেছিলেন তিনি। দলের শেষ ভরসা ব্যাটার মেহেদী হাসান যখন ফিরেন তখণ বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৫৬। মিরাজ ফিরেন ১৩ রান করে। দলকে ১৬৮ রানে রেখে ফিরেন ৮৪ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৭৬ রান করা শান্ত। এরপর আর তিন রান করতেই বাকি তিনটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আর তাতেই ১৭১ রানে অল আউট হয় টাইগাররা। কিউই পেসার অ্যাডাম মিলনে ৩৪ রানে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট আর কোলে ম্যাকঞ্চি।
১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই কিউই ওপেনার এলেন এবং ইয়ং। ৪৯ রানের এই জুটি ভাঙেন শরীফুল। তিনি ফেরান ২৮ রান করা ফিন এলেনকে। পরের বলে ডিন ফঙক্রফটকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়ে তুলেছিলেন শরীফুল। কিন্তু সেটা আর পাওয়া হয়নি। তৃতীয় উইকেটে হেনরী নিকলসকে নিয়ে ৮১ রান যোগ করেন ইয়ং। ৮০ বলে ৭০ রান করা উইল ইয়ংকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন নাসুম আহমেদ। এরপর হেনরী নিকোলস এবং টম ব্লান্ডেল মিলে দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। ১৫.১ ওভার হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড। সে সাথে সিরিজও জিতে নেয়। নিকোলস অপরাজিত ছিলেন ৮৬ বলে ৫০ রান করে। আর ব্লান্ডেল অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ২৩ রান করে। বাংলাদেশের শরীফুল নিয়েছেন ২টি উইকেট।