বাংলাদেশকে সফল করতে হলে চট্টগ্রামকে সফল করতে হবে

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৯ মে, ২০২৫ at ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ

আমরা বাংলাদেশকে একটা ম্যানুফেকচারিং হাবের মধ্যে গড়ে তুলতে চাই। ফ্যাক্টরি বানাতে চাই। আমাদের একটা ইয়াং পপুলেশন আছে। তাদেরকে ব্যবসা করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। বিনিয়োগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে। এটার জন্য আমাদের কমার্শিয়াল হাবকে উন্নত করতে হবে। গতকাল নগরীর সার্কিট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।

তিনি বলেন, ঢাকা নিয়ে অনেক কথা হয়। কিন্তু আপনি যদি দেখেন, দেখতে পাবেন যে, চট্টগ্রাম অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পর্তুগিজরা যখন এসেছে, ব্রিটিশরা যখন এসেছে, সবসময় চট্টগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বাংলাদেশকে সফল করতে হলে চট্টগ্রামকে সফল করতে হবে। চট্টগ্রাম আমাদের টোটাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশনের একটা মেজরিটি অংশ কাভার দেয়। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগে টোটাল ইন্ডাস্ট্রির ৩০৪০ শতাংশ এখনই হয়। আমরা যে বড় বড় ইনিশিয়েটিভের কথা বলি, চায়না স্পেশাল ইকোনমিক জোন, মীরসরাই ইকোনমিক জোন, ফ্রি ট্রেড জোনের কথা বলছি সব চট্টগ্রামে। ম্যানুফকচারিং পাওয়ার হাউসগুলো চট্টগ্রামে হবে। এর প্রধান কারণ চট্টগ্রামের বন্দরগুলো। বন্দরগুলোকে সাকসেসফুল করতে না পারলে সব মাস্টারপ্ল্যান ফেল হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আশিক চৌধুরী বলেন, ভিয়েতনামে লজিস্টিক সাপোর্ট ভালো। আমাদের জায়গা কম। তাই সব বন্দরকে আমাদের শতভাগ সক্ষম করতে হবে, নয়তো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না। বন্দরের ডেভেলপমেন্ট শুরু হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। আমাদের বন্দরের শ্রমিকদের বিদেশি কোম্পানি প্রশিক্ষণ দেবে। আমাদের লেবারদের স্কিল লেবেল বাড়াতে পারলে বিশ্বের উন্নত বন্দরগুলোতে কাজ করতে পারবে। জাতীয় স্বার্থ ও প্রভাব বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করে ভালোভাবে বন্দর অপারেট করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে গ্লোবাল ম্যানুফেকচারিং হাব করতে চাই। লক্ষ্য ১০ বছরের মধ্যে। পোর্টের জার্নির এমভিশন কিন্তু ৫৬ বছরের মধ্যে ক্লোজ করা উচিত। চট্টগ্রামের সব পোর্ট ২০৩০৩১ নাগাদ হয়ে যাওয়ার কথা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল ইসলাম, ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশ হবে তারুণ্যের এক মহামিলন
পরবর্তী নিবন্ধড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার পাল্টাপাল্টি দাবি ভারত পাকিস্তানের