বাংলাদেশকে নিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলংকা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

আবুধাবিতে আফগানিস্তান এবং শ্রীলংকা যখন মুখোমুখি হয়েছিল তখন বাংলাদেশ দল অবস্থান করছিল দুবাইতে। কিন্তু তাদের চোখ ছিল শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের দিকে। কারণ এই ম্যাচটির উপরই যে নির্ভর করছিল বাংলাদেশের সুপার ফোর পর্বে যাওয়া। তাই মাঠে শ্রীলংকা এবং আফগানিস্তান খেললেও টেনশনে ছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে টেনশন মুক্ত করেছে শ্রীলংকা। বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে গেল লংকানরা। ম্যাচটিতে তারা আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। এই জয়ের ফলে টানা তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে অজেয় থেকে সুপার ফোরে গেল।

অপরদিকে আফগানিস্তান হেরে যাওয়ায় গ্রুপ রানারআপ হিসেবে বাংলাদেশও গেল সুপার ফোরে। টানা দুই হারে বিদায় নিল আফগানিস্তান। অপর গ্রুপ থেকে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত এবং পাকিস্তান জায়গা করে নিয়েছে সুপার ফোরে। মোহাম্মদ নবীর ব্যাটিং ঝড়ে ১৬৯ রান করলেও তা ৯ বল বাকি থাকতে টপকে যায় লংকানরা কুশল মেন্ডিসের তান্ডবে।

টসে জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তান ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ১৪ রান করে ফিরেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ওভারের শেষ বলে করিম জানাতকেও ফেরান তুষারা। আফগানদের মিডল অর্ডারও পারেনি হাল ধরতে। লংকান বোলারদের সামনে সুবিধা করতে পারছিলেন না রশিদের ব্যাটাররা। আতালইব্রাহিমরা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ৭৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। তবে শেষদিকে ঝড় তুলেন মোহাম্মদ নবী। মূলত তার ঝড়েই ১৬৯ রানে পৌঁছে আফগানিস্তান। ১৯ তম ওভারে ১৭ আর ২০ তম ওভারে ৩২ রান তুলে নেন মোহাম্মদ নবী। ২২ বলে ৩টি চার আর ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ রান করে শেষ বলে রান আউট হয়ে ফিরেন মোহাম্মদ নবী। শ্রীলংকার পক্ষে ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন নুয়ান তুষারা।

১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলংকা ২২ রানে হারায় প্রথম উইকেট। দ্বিতীয় উইকেটে কামিল মিশ্র এবং কুশল মেন্ডিস মিলে যোগ করেন ২৫ রান। তৃতীয় উইকেটে কুশল পেরেরা এবং কুশল মেন্ডিস মিলে যোগ করেন ৪৫ রান। ২০ বলে ২৮ রান করা পেরেরাকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন মুজিব। আশালাংকাকে নিয়ে ভালোই এগুচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস। এরই মধ্যে মেন্ডিস তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের ১৭ তম হাফ সেঞ্চুরি। ১২ বলে ১৭ রান করা আশালাংকাকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙ্গেন নুর আহমেদ। এরপর কুশল মেন্ডিস এ কামিন্দু মেন্ডিস মিলে আর কোন সুযোগ দেননি আফগানদের। এ দুজন ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। মেন্ডিস ৫২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন। অপর প্রান্তে ২৩ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন কামিন্দু মেন্ডিস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাবেদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪ জনের অবস্থা গুরুতর