চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটে স্পিনারদের জন্য সহায়তা ক্রমেই বাড়ছে। রান তোলা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উইকেটে বাড়বে চিড়। দুরূহ পরিস্থিতিতে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিংয়ের কথা মাথায় রেখে, বাংলাদেশকে যত কম রানে সম্ভব থামানোর পরিকল্পনা আঁটছে পাকিস্তান। চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৪৪ রানের লিড নেওয়ার খুশি ভেস্তে গেছে টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ৩৯ রানে দিন শেষ করেছে, এগিয়ে আছে ৮৩ রানে। ১৩৩ রানের ইনিংসের পরও পাকিস্তানকে লিড এনে দিতে না পারা ওপেনার আবিদ আলি জানেন, চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া কতটা কঠিন হবে। তাই তিনি যত কম রানে সম্ভব বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিতে চান। ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে যত দ্রুত সম্ভব ওদের অলআউট করার। যেন লক্ষ্যটা ছোট থাকে। কাল চতুর্থ দিন। উইকেটের আচরণ পাল্টাচ্ছে। বল স্পিন করছে। ভালো লাইন, লেংথে বোলিংয়ে চেষ্টা থাকবে যেন বাংলাদেশকে কম রানে থামাতে পারি। এতে পরের ইনিংসের জন্য আমাদের সুবিধা হবে।’ রোববার পড়া বাংলাদেশের চার উইকেটের তিনটি নিয়েছেন আফ্রিদি। সুইং বোলিংয়ে ভুগিয়ে বিদায় করেছেন সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাইফ হাসানকে। চতুর্থ দিন সকালে বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দিতে পাকিস্তান তাকিয়ে থাকবে বাঁহাতি এই পেসার ও প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া হাসান আলির দিকে। স্টাম্প সোজা বোলিং করে প্রতিপক্ষকে কম রানে থামানোর প্রত্যাশা আফ্রিদির। ‘উইকেট ভালো, মন্থর উইকেট। লক্ষ্য থাকবে ‘উইকট টু উইকেট’ বোলিং করে ম্যাচ জেতার। উইকেটে স্পিনারদের জন্য সুবিধা মিলছে। আশা করি, বাংলাদেশকে দুইশ রানের নিচে থামিয়ে দিতে পারব।’