চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ধোপাছড়ি খালের উপর নির্মিত কাঠের সেতুটি বিশাল একটি বাঁশের চালির ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় স্রোতে ভেসে আসা এক ব্যবসায়ীর ৩/৪ হাজারের একটি বিশাল বাঁশের চালির ধাক্কায় সেতুটি ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি জনপথ ইউনিয়ন ধোপাছড়ি। সড়ক যোগাযোগের অপ্রতুলতায় ইউনিয়নটি পিছিয়ে রয়েছে। ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ধোপাছড়ি খাল, যা মিশেছে খরস্রোতা শঙ্খনদের সাথে। বাঁশের সাঁকোতেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে খালটি পারাপার করতে হতো ইউনিয়নের ১ নং ও ২ নং ওয়ার্ড শঙ্খকুল, চেমিরমুখ এলাকার প্রায় আড়াই শতাধিক পরিবারসহ দুই পাড়ের মানুষকে। স্বাধীনতা পরবর্তী ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও হয়নি একটি স্থায়ী সেতু। সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবরের দিকে চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ দিয়ে ১০০ মিটার লম্বা ও ৭ ফুট প্রস্থের একটি দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। তখন থেকেই সেতুটি দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। কিন্তু ধোপাছড়িবাসীর দুঃখ যেন শেষ হবার নয়। সেতুটি নির্মাণের বছর না ঘুরতেই পাহাড়ি ঢলের সাথে ভেসে আসা একটি বিশাল বাঁশের চালির ধাক্কায় সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ল। সেই সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হল।
এ ব্যাপারে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম জানান, বাঁশের চালির ধাক্কায় ধোপাছড়ির কাঠের সেতুটি ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে ইউপি সচিবকে সেতু ব্যবহার উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প হিসেবে আগের মতো নৌকা দিয়ে চলাচল করার জন্য ঘাট চালুর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে এবং মানুষ যাতে ভাঙা সেতু ব্যবহার করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় না পড়ে এজন্য সতর্কীকরণ নোটিশ দিতে বলা হয়েছে। ইউএনও বলেন, স্থানীয়রা বাঁশের চালিটি বেঁধে রেখেছে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারেও খোঁজ নিতে বলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।