বাঁশখালী, চট্টগ্রাম জেলার পঞ্চম বৃহত্তম উপজেলা, যেটি চট্টগ্রাম–কক্সবাজার সড়কের বিকল্প পথ হিসেবে পরিচিত। এই সড়কটি ব্যবহার করে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া, চকরিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দারা বিভিন্ন কাজে বাঁশখালীতে আসা–যাওয়া করেন। তবে, বর্তমানে সড়কের সংকীর্ণতা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাঁশখালীর প্রধান সড়কটি দুই লেনবিশিষ্ট হওয়ায় বড় বড় যানবাহন চলাচল করতে পারে না, ফলে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এর ফলে সময়ের অপচয় এবং যাত্রীদের জন্য সীমাহীন দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এই সড়কের সম্প্রসারণ অত্যন্ত জরুরি, যাতে এটি ৪ লেনবিশিষ্ট করা যায় এবং যানজট কমানো সম্ভব হয়। এছাড়া, বাঁশখালীতে পর্যটন শিল্পেরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। মিনি বাহারছড়া সমুদ্র সৈকত, বাঁশখালী ইকোপার্ক, চা বাগান ও পাহাড়ি দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন অনেক পর্যটক এই সড়ক ব্যবহার করেন। কিন্তু, রাস্তার সংকীর্ণতায় তাঁরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বাঁশখালী সড়কটি শুধু স্থানীয়দের জন্য নয়, দেশের বৃহৎ শিল্পকেন্দ্রগুলোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, পেকুয়ায় বানৌজা নৌ–ঘাঁটি এবং বাঁশখালীর গণ্ডামারা এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের মালামাল পরিবহনের গাড়িগুলোও এই সড়ক ব্যবহার করে। তাই, সড়কটির উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন বাঁশখালীসহ আশেপাশের জনগণের যাতায়াত সহজতর এবং নিরাপদ হয়।
মোহাম্মদ ফরহাদুল ইসলাম
বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ।