বাঁশখালীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন থেকে দু’ভাগে বিভক্ত। একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সাবেক সাংসদ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী এবং অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সাবেক পৌর মেয়র কামরুল ইসলাম হোছাইনী, লেয়াকত আলী চেয়ারম্যান ও ইব্রাহিম বিন খলিল। সম্প্রতি দক্ষিণ জেলা বিএনপির একাংশ বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি ও পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। তাতে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী সমর্থিত বাহারছড়ার সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার লোকমান আহমদকে আহ্বায়ক ও ছনুয়ার সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরীকে সদস্য সচিব করা হয় এবং রাসেল ইকবাল মিয়াকে আহ্বায়ক ও খোরশেদ আলম আইয়ুবকে সদস্য সচিব করে পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। অপরদিকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির অপর অংশ মো. ইব্রাহিম বিন খলিলকে আহ্বায়ক ও এডভোকেট মহিউদ্দিন সিকদারকে সদস্য সচিব করে বাঁশখালী উপজেলা কমিটি এবং সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোছাইনকে আহ্বায়ক ও শাহাদাত হোসেন আজগরকে সদস্য সচিব করে বাঁশখালী পৌরসভা বিএনপির পাল্টা কমিটি ঘোষণা করে। তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিএনপির তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া কামরুল ও লেয়াকত গ্রুপের আবু আহমদকে আহ্বায়ক করে যুবদলের উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হলেও তা আবার স্থগিত করা হয়। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে থাকা বিএনপিতে এখন চলছে পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘোষণার হিড়িক। ফলে দলের কর্মীদের মাঝে হতাশার পাশাপাশি চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, সদস্য শেখ মুহাম্মদ মহিউদ্দীন ও চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল গত রোববার চেচুরিয়াতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক (একাংশ) ইব্রাহিম বিন খলিল বলেন, চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীসহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির তিন নেতার বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। নয়তো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এসময় এডভোকেট মহিউদ্দিন সিকদার, হাজী ছাবের আহমদ, মুফিজুর রহমান ও মাওলানা আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।