বাঁশখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীকে আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পৌরসভার মিয়ার বাজার এলাকায় অবরুদ্ধ থাকা একটা বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অভ্যন্তরীণ বিবাদ থাকায় উপজেলা যুবমহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা মনির বাসা থেকে তাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে বাসায় পৌছে দেয় বলে জানান বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. কামাল উদ্দিন।
তবে তিনি কী কারণে তাকে এখানে এনে অবরুদ্ধ করা হয়েছে তা বিস্তারিত অবগত নন বলে জানান।
এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. হামিদ উল্লাহ বলেন, “মেয়র বাসায় থাকাকালীন কিছু যুবক এসে চড়াও হয়। পরে পুলিশ এসে মেয়রকে চলে যেতে বলে।”
ঘটনার ব্যাপারে উপজেলা যুবমহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা মনি বলেন, “পৌর নির্বাচনে আমার ভাই মানিক বিজয়ী হতে না পারায় আমি ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে থাকলে আমার মা, বোন ও ভাবি আমাকে দেখতে আসেন। কিছুক্ষণ পর পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. হামিদ উল্লাহ আমার বাসায় আসেন। পরক্ষণে বর্তমান মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী হাঁপাতে হাঁপাতে আমার বাসায় এসে বাঁচাতে বলে তাকে নাকি কিছু লোক মারতে চাইছে। আমার বাসায় এসে কিছু যুবক মেয়রকে টানাহেঁচড়া করে। আমি তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছি। ঘটনার কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা ভিডিওতে ২/৩ জন যুবক মেয়রকে টানাহেঁচড়া করে পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলতে দেখা যায়।”
পরে পুলিশ এসে মেয়রকে উদ্ধার করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও রাত পৌনে আটটার দিকে মিয়ার বাজার এলাকা থেকে মেয়রের গাড়িটি পুলিশের সহায়তায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উত্তেজনা চলছে।
ঘটনার ব্যাপারে জানার জন্য বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু অবগত নন বলে জানান।
উল্লেখ্য, বাঁশখালী পৌরসভার নির্বাচনে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরে তৃতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী।
প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য মেয়রের মোবাইল ফোনে অনেকবার কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
