বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ২নং ওয়ার্ডের চরতিয়া পাড়ায় এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭ পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে গেছে। এতে ক্ষয়–ক্ষতির পরিমাণ ২০ থেকে ২৫ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এ ঘটনা ঘটে। রান্নার চুলার আগুন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাত পরিবারের সদস্যরা হলেন আব্দুল হকের পুত্র নাছির উদ্দিন, রেজাউল করিম, ফজল করিম, মৃত আতর আলীর পুত্র আব্দুল হক, আব্দুল আজিজ, আব্দুল কাদের ও মৃত মমতাজের পুত্র মোজাহের আহমদ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত এলাকাটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। সবগুলো ঘর ছিল টিনের চালা ও বেড়ার। যথাসময়ে ফায়ার সার্ভিস না আসলে অনেকগুলো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হতো। বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার ইনচার্জ আযাদুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের টিমসহ আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং যথাসময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি, তারপরেও আগুনে ৭ পরিবারের মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রাঙ্গুনিয়া : রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি জানান, উপজেলার কোদালা ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বসতঘর পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কোদালা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মৌলবি হারুনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন।
এতে তাদের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। ফায়ার সার্ভিসের রাঙ্গুনিয়া স্টেশন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সুমন বলেন, ওই এলাকার একটি বসতঘরের রান্নার চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে তা মুহূর্তে পাশের বাড়িগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মো. হাসান ও মুছা হোসেনের একাধিক কক্ষ বিশিষ্ট বিভিন্ন পরিমাপের ২টি কাঁচা বসতঘর পুড়ে গেছে এবং মো. হারুনের দ্বিতল বিশিষ্ট পাকা ভবনের নিচ তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।