বাঁশখালীর ৪০ সহস্রাধিক লোকের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান

উপকূল পরিদর্শনে ডিসি-এসপি

বাঁশখালী প্রতিনিধি | রবিবার , ১৪ মে, ২০২৩ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় মোখা তীব্র আকার ধারণ করায় বাঁশখালী উপকূলের জনগণের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে উপকূলের জনগণ গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে আশ্রয় কেন্দ্র এবং পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য ছুটেছে। শনিবার রাত রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালীর ১১০টি স্কুল কাম আশ্রয়কেন্দ্রে ৪০ সহস্রাধিক লোক নানাভাবে আশ্রয় নিয়েছে। রাতে তা অর্ধলক্ষাধিক ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সূত্রে জানা যায়। অপরদিকে চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে মোখার সার্বিক চিত্র, আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন এবং তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান, বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা, কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:: কর্মকর্তা ডা. শফিউর রহমান মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার দুপুরে বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নের সন্ধিপাড়া মুজিবকিল্লা ও আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনকালে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করার আহবান জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এ সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সাগর সংলগ্ন এলাকা। তাই এখানে ছুটে এসেছি জনগণ যাতে কোন ধরনের সমস্যায় না পড়ে। এ সময় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ বলেন, দুর্যোগের সময় যাতে আইনশৃংখলা অবনতি হতে না পারে তার জন্য প্রশাসন সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী জানান, উপকূলের প্রায় ৪০/৫০ হাজার লোক ইতিমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে বলে আমি জনপ্রতিনিধি ও সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমি নিজে খানখানাবাদ, ছনুয়া, শেখেরখীল, চাম্বল, গন্ডামারাসহ বিভিন্ন এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে শুকনো খাবার বিতরণ করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএমপি ও জেলা পুলিশের ৯ হাজার সদস্য
পরবর্তী নিবন্ধসংসার সামলে সফল যে মায়েরা