চট্টগ্রামকে বলা হয় বাণিজ্যিক রাজধানী। সেই শহরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ স্থাপন করে বাঁশখালী উপজেলা। প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে আনোয়ারা–বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজারগামী মহাসড়কে। অথচ এতো গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক আজও প্রশস্ত হয়নি। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে, বাড়ছে লাশের সারি। শোক যেন থামছেই না। বাঁশখালীর মহাসড়ক ও আশপাশের সড়কগুলো এখন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে শুধু অব্যবস্থাপনার কারণে। সড়ক ভাঙাচোরা, খানাখন্দে ভরা, কোথাও কোথাও এত সরু যে একসঙ্গে দুইটি গাড়ি চলাচলই ঝুঁকিপূর্ণ। রাস্তার পাশে গভীর খাদ, পুকুর থাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আরও বেশি। সড়কে নেই পর্যাপ্ত ল্যাম্পপোস্ট, ফলে অন্ধকার রাতে গাড়ি চলাচল হয় ভয়াবহ ঝুঁকিতে। ৪ লাখ ২৭ হাজারেরও বেশি জনসংখ্যা নিয়ে বাঁশখালী চেয়ে আছে একটি আধুনিক সড়কের দিকে। চার লেনবিশিষ্ট সড়ক এখন সময়ের দাবি। কিন্তু বছরের পর বছর কেটে গেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই অঞ্চলের সড়ক ব্যবস্থায়। ক্ষমতার পালাবদল ঘটলেও সড়কের দুর্দশা রয়ে গেছে একই অবস্থায়। ক্ষমতার পালাবদল হলেও এখনো পরিবর্তন হয়নি সড়ক ব্যবস্থার ৩৯২ বর্গকিলোমিটারের এই উপজেলার মানুষ আর কত লাশের মিছিল দেখবে? এখনই সময় সড়ক প্রশস্ত করার, সংস্কার করার এবং সড়কবাতি স্থাপনের। পাশাপাশি স্থানীয় সড়কগুলোতেও জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজমাইন ইকতিকার শাফি
শিক্ষার্থী, বাকলিয়া সরকারি কলেজ।