বাঁশখালীর সরলে লবণ মাঠ নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে হামলায় গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।
গুরুতর আহত ও গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ ফোরকান (৩০), মোহাম্মদ মাহিম (১৮), আজিজুর রহমান (৫০), নুর হোসেন (৩৭), মোহাম্মদ দেলোয়ার (৩৮), শাহজাহান (৩০), মোহাম্মদ রুবেল (৩১), জমির উদ্দীন (৫০) ও আবদুল করিম (৪৫) কে প্রথমে বাঁশখালী ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার উপকূলীয় সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল নতুন বাজার এলাকায় এই হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সরল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে উত্তর সরল এলাকার জাফর আহমদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন লবণ মাঠ থেকে ফেরার পথে নতুন বাজার এলাকায় পৌঁছালে লবণ মাঠ নিয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ থাকা আওয়ামী লীগ অনুসারীরা দেলোয়ারকে আটকে রেখে মারধর করেন।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে দেলোয়ারের পক্ষের লোকজন তাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে তাদের উপর হামলা করা হয়। এসময় দেলোয়ারের লোকজন প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাদের উপর গুলিবর্ষণ করা হয় বলে জানান আহতরা।
গুলিবিদ্ধ ও আহতরা হলেন, মাহিন (১৬), ফোরকান (৩৫), শাহাজান (৩০), শাকিল (২০), রোবেল (৩১), রাকিব (২০), নুর হোসেন (৩৭), জমির (৫০), আজিজুর রহমান (৪৮), রোকমান (২৪), আনি (২৭), সৈয়দ নূর (৪৫), নয়ন (১৯), শাকিল (২০), শাহাব উদ্দীন (৩২), ইউনুস (৫০), ফারবেছ (২৩), রাশেদ (২৩), হাবিব (২৪), শাকিব (২৪), আবদুল আলিম (৪৫), তৈয়ব (৫২), আবু তালেব (৬০), ফরিদ (৫২)।
তার মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ মাহিম জানান, আমরা দেলোয়ারকে উদ্ধার করতে গেলে আমাদের উপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়। হামলাকারীরা সকলে আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম ও আবদুল্লাহ কবির লিটনের অনুসারী।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, বাঁশখালীর সরলে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষের মাঝে লবণ মাঠ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আমরা বার বার উভয় পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বর্তমানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়ন রয়েছে।