বাঁশখালীর প্রাচীনতম বখসি হামিদ মসজিদ পরিদর্শনে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত

বাঁশখালী প্রতিনিধি | সোমবার , ১১ অক্টোবর, ২০২১ at ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালীর প্রাচীনতম নিদর্শন বখসি হামিদ জামে মসজিদ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ মেরিন সুহ। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় প্রাচীন এ স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
এসময় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, অঁলিয়স ফ্রসেস’র ড. সেলভাস থেরেস, চট্টগ্রাম চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. প্রণব মিত্র চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (অনোয়ারা সার্কেল) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম, বখশি হামিদ জামে মসজিদ ও মাদরাসা পরিচালক শাহ সুফি হাফেজ মাওলানা আবদুল মজিদ, চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান আহমদুর রহমান ।

এসময় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, বখসি হামিদ জামে মসজিদটি খুব সুন্দর একটি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান। তিনি কালের সাক্ষী এই মসজিদটি সবাইকে দেখতে আসার এবং সংরক্ষণ করার আহবান জানান তিনি। বাঁশখালীর ইলশা গ্রামে একটি দীঘির পাড়ে বখসি হামিদ জামে মসজিদটি ১৫৬৮ সালে নির্মিত হয় বলে
মসজিদের নামফলক সুত্রে জানা যায় মসজিদটি সুলতান সম্রাট সোলাইমানের আমলে নির্মিত হয়। মসজিদটির নির্মাণ কৌশলের সাথে প্রাচীন স্থাপনা ঢাকার শায়েস্তা খান মসজিদ এবং নারায়ণগঞ্জের বিবি মরিয়ম মসজিদের মিল রয়েছে। এখানে নির্মিত হয়েছে মাদরাসা, হেফজখানা। এই মসজিদ নির্মিত হয়েছে ইট, পাথর ও সুরকি ব্যবহার করে।
মসজিদে রক্ষিত ফলকে আরবিতে লেখার মূল অর্থ হলো- এ মসজিদ নির্মাণ হয়েছে সেই বাদশাহর যুগে, যাকে উপাধি দেয়া হয়েছে দ্বীন এবং মিল্লাতের সুলতানুল মুয়াজ্জম তথা মহান সম্রাট। আর তিনি হলেন সুলাইমান কররানি (আল্লাহ তাকে বিপদাপদ থেকে মুক্ত রাখুন)। তারিখ- ৯৭৫ হিজরি সালের ৯ রমজান। যা ১৫৬৮ সালের ৯ মার্চের সঙ্গে মিলে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিলাসবহুল গাড়িসহ হচ্ছে ১২৪ লট পণ্যের নিলাম
পরবর্তী নিবন্ধমহামারীতে মানসিক সমস্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪.৬% শিক্ষার্থী