বাঁশখালী উপজেলা শুধু একটি পর্যটন এলাকা নয় বরং এটি অনেক উপজেলার প্রবেশদ্বারও। এই বাঁশখালীর প্রধান সড়ক হয়ে প্রবেশ করতে হয় দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারগামী বিভিন্ন যানবাহনের। তাই এই সড়কটি পেকুয়া, চকরিয়া ও কক্সবাজার যাতায়াত ব্যবস্থার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। এই সড়কটিতে প্রতিনিয়ত অসংখ্য যান চলাচল করে। যার ফলে নানা দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষ আর পথচারীদের।
এ ছাড়াও এই সরু সড়ক দিয়ে সুপার সার্ভিস, এস আলম, আর দ্রুতগামী সান লাইনের মতো দূরপাল্লার বাসের চলাচল রয়েছে প্রতিনিয়ত। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ধরন আর সরু সড়কটি দিয়ে বিপুলসংখ্যক যান চলাচলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। ফলে সড়কের বলি হয়ে হারাতে হচ্ছে নানা প্রাণ।
বাঁশখালীর মানুষ তাই এখন প্রশ্ন তোলে এই মৃত্যুর রাজপথ কি আমাদের নিয়তি? একসময় এই সড়ক দিয়ে যেত উৎসবের মিছিল, এখন যায় লাশের বহর। বাঁশখালী প্রধান সড়ক শুধু একটি রাস্তা নয়, এটি তাদের বেঁচে থাকার প্রতীক, তাদের আত্মমর্যাদার দাবি।
দিন শেষে এই সড়ক হয়তো এখনো মৃত্যুপুরীর মতোই। রাষ্ট্রের অবহেলা, সমাজের নীরবতা আর সাধারণ মানুষের অনন্ত সহিষ্ণুতার প্রতিচ্ছবি বাঁশখালী প্রধান সড়কে কবে থামবে এ ধারাবাহিক মৃত্যুর মিছিল?
তৌহিদ–উল বারী
বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।












