বাঁশখালীর মধ্যম গণ্ডামারায় হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৫জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় আজ রবিবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে তিনজনকে বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হামলার শিকার আবদুল খালেক বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে বাঁশখালী থানা পুলিশের এসআই প্রদীপ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ আজ রবিবার সন্ধ্যায় দুইজনকে আটক করেছে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গণ্ডামারা ইউনিয়নের মধ্যম গণ্ডামারা হাদির পাড়া এলাকায় স্থানীয় সন্ত্রাসী মুহিব উল্লাহ (৩৫) ও আবু তৈয়ব (৪২) গংরা তুচ্ছ বিরোধের জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় এবং রবিবার সকালে হামলা চালিয়ে আবদুল খালেক (৩৫), আবদুল করিম (৪০) এবং জামাল উদ্দিন (৪৫) সহ বেশ কয়েকজনকে গুরুতর জখম করে।
আহতরা বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং এ ঘটনায় আহত আবদুল খালেক বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে বাঁশখালী থানা পুলিশের এসআই প্রদীপ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ রবিবার সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে মধ্যম গন্ডামারা এলাকার মোজাফ্ফর আহমদের পুত্র মুহিব উল্লাহ (৩৫) এবং আবু তৈয়ব(৪২)কে আটক করে।
অভিযোগ রয়েছে তারা দীর্ঘদিন যাবত সাগরে জলদস্যুতা সহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে সাধারন জনগণের কাছ থেকে নানাভাবে অর্থ আদায় করত।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, “গন্ডামারায় হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করে অপর অভিযুক্তদের আটকের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।”