বাঁশখালীর গণ্ডামারার ঘটনায় ২টি তদন্ত কমিটি (ভিডিও সহ)

নিহতদের ৩ লক্ষ, আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শনিবার , ১৭ এপ্রিল, ২০২১ at ৮:২৮ অপরাহ্ণ

বাঁশখালীর গন্ডামারায় এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে সংঘটিত নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরদিকে, ঘটনায় নিহতের প্রতিটি পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান।
গণ্ডামারার এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে ৫ জন নিহতের পর আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বাঁশখালীর গণ্ডামারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে, শনিবার রাতে সর্বশেষ পরিস্থিতির ব্যাপারে দৈনিক আজাদীকে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের সমন্বয়কারী আদিল বিল্লাহ আদিল বলেন, “শ্রমিকদের যে সব দাবি ছিল তা অনেকটা মেনে নেওয়া হয়েছে। তারপরেও তারা পরিকল্পিতভাবে চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা এবং প্রকল্পের মালামাল পুড়িয়ে দেয় এবং লুটপাট চালায়। এটা একটা সরকারি সম্পত্তি। স্থানীয় জনগণের ইন্ধনে চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা ঠেকাতে প্রশাসন এটা করেছে।” এখানে এ ঘটনায় প্রশাসন সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
নিহতদের মধ্যে আহমদ রেজা মীর খান গণ্ডামারা এলাকার হলেও তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে রাতে আনা সম্ভব হবে কি না নিশ্চিত করে বলতে পারেননি গণ্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, “ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তারকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবির আহম্মেদ, কল-কারখানা অধিদফতর চট্টগ্রামের লেবার পরিদর্শক মাসুদ রানা, বিদ্যুৎ বিভাগ চট্টগ্রামের সহকারী প্রধান প্রকৌশলী অভিজিৎ কুরি।
কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
এসময় নিহত পাঁচ শ্রমিকের প্রত্যেকজনের পরিবারকে ৩ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “পাঁচজন নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেনকে। এছাড়া অন্য দুই সদস্য হলেন পুলিশ সুপার নেছার আহমেদ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবির হোসেন। কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।”
রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চললেও মামলা হয়নি বলে থানা সূত্রে জানা যায়।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/DainikAzadi/videos/2827635360885464

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনায় লোহাগাড়ার যুবকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধভাবীকে হত্যা করে আত্মগোপন চট্টগ্রামে: ৫ বছর পর মিস্ত্রিপাড়া থেকে গ্রেফতার