বাঁশখালী থানা সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে পৌরসভা সদরের আস্করিয়া সড়কে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪টি দোকান ভস্মীভুত হয়ে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার (১৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে সংঘটিত ঘটনায় ৪টি দোকানের সব মালামাল পুড়ে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান।
ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও দোকানের ভিতরে গ্যাসের সিলিন্ডার থাকায় অনেকে আগুন নেভাতে এসে সাহস পায়নি।
কেউ শক্রতাবশত এ আগুন দিতে পারে বলে ব্যবসায়ীরা অনুমান করলেও বৈদ্যুতিক শর্ট সাকির্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান ।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম মিয়াজীসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান, বুধবার গভীর রাতে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আবুল বশরের মুদির দোকান ও গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, মোহাম্মদ বেলালের কম্পিউটার ও স্টেশনারির দোকান, রাজীব তালুকদারের ঔষধের দোকান এবং মো. কামালের ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানের মালামাল পুড়ে যায়।
এ সময় প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার লিটন বৈঞ্চব জানান, আগুনের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে এলেও পাশে কোনো পানি না পাওয়ায় তাদের বেগ পেতে হয়। তারপরও অনেক চেষ্টার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী আবুল বশর বলেন, “আমার মুদির দোকান ও গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বেলাল জানান, তার দোকানে কম্পিউটার, ফটোকপির মেশিন, লেমিনেটিং মেশিনসহ কয়েক লাখ টাকার স্টেশনারি মালামাল ছিল। আগুনে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ঔষধের দোকানের মালিক রাজীব তালুকদার বলেন, “আমার দোকানে প্রায় ১৭/১৮ লক্ষ টাকার ঔষধ ছিল। আগুন তীব্র হওয়ায় কোনো মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি।”
একই কথা বললেন ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানের মালিক মো. কামাল।
