বাঁশখালীর শীলকূপে আবদুল জব্বার প্রকাশ জসীম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে (৩৫) কুপিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে জসীম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে শীলকূপ ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গণ্ডামারা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বড়ঘোনা এলাকার মোক্তার আহমদের পুত্র আবদুল জব্বার প্রকাশ জসীম স্ত্রী-পুত্র নিয়ে শীলকূপের মাইজ পাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
সেখানে আজ মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে নিজের বাড়িতে রাখা বিশাল ধামা দা দিয়ে কুপিয়ে হাত-পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন।
ছেলে আমান উল্লাহ সহ অন্যরা ইয়াসমিন আক্তারকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
পরে নিজে সেই দা সহ বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীর কাছে গিয়ে নিজের স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার কথা জানালে তিনি তাকে বাঁশখালী থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এদিকে, ইয়াসমিন আক্তারকে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডা. তানভীর চৌধুরীর নেতৃত্বে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে জরুরি ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে আহতের ছেলে আমান উল্লাহ বলেন, “আমার পিতা কয়দিন থেকে অসুস্থ ও মানসিকভাবে খারাপ অবস্থায় ছিলেন। আজ মঙ্গলবার বিকালে হঠাৎ আমার মাকে কুপিয়ে জখম করেন। আমরা ৩ ভাই, ১ বোন। আমি ২য় এবং রাজমিস্ত্রীর কাজ করি।”
খবর পেয়ে তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানায় সে। সে আরো জানায়, তার মায়ের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, “আবদুল জব্বার প্রকাশ জসীম স্ত্রীকে কুপিয়ে আত্মসমর্পণ করে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।” পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাঁশখালী থানা পুলিশ স্ত্রীর ওপর হামলাকারী জসীমকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে থানা হাজতে রাখে এবং মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।