বাঁশখালীতে অবৈধভালে বালি উত্তোলন, পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। অল্প শ্রমে বেশি লাভের এ কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে সমাজের নানা শ্রেণীর রাঘব-বোয়াল। তাই প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানের পরও রোধ করা যাচ্ছে না।
আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাধনপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পানি ঘাটা এলাকায় টিলা, চাষের জমি ও ছড়া হতে অবাধে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও পরিবহনের দায়ে একটি স্ক্যাভেটর ও পাঁচটি ডাম্পার ট্রাক জব্দ করা হয়।
বাঁশখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসানের নের্তৃত্ব এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সাধনপুরের ইদ্রিস, বশর, ইব্রাহিম, মালেকের নেতৃত্বে বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বিক্রয়ের কাজ চলছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে মাটি কাটার সাথে জড়িতরা পালিয়ে গেলেও এ সময় জব্দকৃত স্ক্যাভেটর ও ডাম্পার ট্রাক স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মো. শওকত হোসেনের জিম্মায় দেওয়া হয়।
বাঁশখালীর পুঁইছড়ি, চাম্বল, শীলকূপ, পৌরসভার জলদী, বৈলছড়ি, কালীপুর, সাধনপুর, পুকুরিয়া এলাকায় কোথাও না কোথাও অবৈধভালে বালি উত্তোলন, পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। এক শ্রেণীর ব্যক্তি এ কাজটাকে পেশা হিসাবে নিয়ে প্রতিনিয়ত এ কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। ফলে প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানের পরও রোধ করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “বিভিন্ন এলাকায় নানাভাবে অবৈধভালে বালি উত্তোলন, পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে এক শ্রেণীর মানুষ। খবর পেলে আমরা সাথে সাথে অভিযান পরিচালনা করে থাকি।”
এর জন্য সচেতন জনগণ, জনপ্রতিনিধি সহ সবাইকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।