বাঁশখালীর গণ্ডামারা এলাকার হাফেজ রফিকুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মারধর ও নির্যাতনের মাধ্যমে জমি লিখে নেয়ার অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশী সহায়তায় উদ্ধার করা তাকে।
এ নিয়ে আজ সোমবার (২১ জুন) বিকেলে বাঁশখালী পৌরসভার একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেন অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হাফেজ রফিক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের মৃত ছাবের আহমদের পুত্র হাফেজ রফিকুল ইসলাম তার মালিকানাধীন জমি একই এলাকার আশরাফ আলীর পুত্র মনির আহমদকে বর্গা চাষের জন্য দেন।
দীর্ঘদিন ধরে রফিকের জমিতে চাষাবাদ করার পর ওই জায়গা নিজের করে নেওয়ার চেষ্টা চালায় মনির গংরা।
এ নিয়ে হাফেজ রফিক আইনের আশ্রয় গ্রহণ করলে গত ১১ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় বাঁশখালীর পশ্চিম গণ্ডামারা কেজি স্কুল এলাকা থেকে মনির গংদের নেতৃত্বে ১০/১২ জন ব্যক্তি হাফেজ রফিকুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যায়।
এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর ও নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তারা জমি লিখে দিতে চাপ সৃষ্টি করে।
খবর পেয়ে হাফেজ রফিকের আত্মীয়-স্বজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চাইলে পুলিশ ওই দিন রাত ৯টার দিকে গণ্ডামারা সিরাজ মিয়ার বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি করে।
অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
দীর্ঘ ১ সপ্তাহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ১৬ জুন হাফেজ রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বাঁশখালী আদালতে গণ্ডামারা এলাকার মনির, সিরাজ সহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাফেজ রফিকুল ইসলাম গণ্ডামারা আল কোরআন মডেল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তাকে প্রতিপক্ষের লোকজন ধরে নিয়ে মারধর ও নির্যাতনের পর তার কাছে থাকা ৬০ হাজার টাকা এবং একটি দামী মোবাইল সেটও নিয়ে যায়। পরে আত্মীয়-স্বজনরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাইলে রাত ৯টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাফেজ রফিক বলেন, “সেদিন পুলিশ এগিয়ে না এলে আমার জীবন বিপন্ন হতো। পুলিশী হস্তক্ষেপে সেদিন আমি জীবনে রক্ষা পেয়েছি।”
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর জানান, গণ্ডামারার হাফেজ রফিককে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি সফিউল।
জমি বর্গা নিয়ে মালিককে অপহরণ করে জমি লিখে নেয়ার অপচেষ্টার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।