নির্বাচন ও ঈদকে সামনে রেখে বাঁশখালীতে বিরাজ করছে ভিন্ন আমেজ। কয়দিন পর ঈদ, এরপর অনুষ্ঠিত হবে বাঁশখালীর ১৪টি ইউনিয়নের নির্বাচন। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রথমে ১৩ ইউনিয়নের তফশীল ঘোষণা করে। এতে বাদ পড়ে আলোচিত গন্ডামারা ইউনিয়ন। পরে আবার গত ২৮ এপ্রিল গন্ডামারা ইউনিয়নকে অন্তর্ভুক্ত করে তফশীল ঘোষণা করা হয়। ফলে এবার ১৪ ইউনিয়নের নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এবার ঈদ ও নির্বাচনকে সামনে রেখে কদর বেড়েছে সাধারণ ভোটারদের। এমনিতে রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ জনগনের প্রতি আদর অপ্যায়ন করলেও এবার ভিন্ন মাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে। মো. হারুন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ঈদে জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষদের ভালো খাতির করে। বিভিন্ন উপহার দেয়। এবার ঈদের পর নির্বাচন হওয়ায় খাতির একটু বেশিই করছেন। আমি নিজেও একটি পাঞ্জাবি ও ঈদ সামগ্রী উপহার পেয়েছি।
বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে আমার এলাকার জনগণ সব সময় গুরুপ্তপূর্ণ। এবার ঈদ ও নির্বাচন কাছাকাছি হওয়ায় সেই গুরুত্ব তুলনামূলক বেশি।
গন্ডামারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লেয়াকত আলী বলেন, আমার এলাকার জনগণের সাথে আমার হৃদয়ের সর্ম্পক। জনপ্রতিনিধির বাইরেও আমি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে জনগণকে ভালবাসি আর জনগনও আমাকে সেভাবে ভালবাসে। তবে যেকোনো ঈদ–কোরবানে আমার এলাকার জনগণকে আমি সাথে নিয়ে করার চেষ্টা করি।
কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এড. আ.ন.ম শাহাদত আলম বলেন, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে সবসময় জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। সে দায়বদ্ধতার খাতিরে আমি সবসময় জনগণের কাঁতারে থেকে যেকোনো রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রতিপালনে সর্বাত্মক চেষ্টা করি।