বাঁশখালীতে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

মোহাম্মদ এরশাদ, বাঁশখালী | শুক্রবার , ৩০ মে, ২০২৫ at ৮:১১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পাহাড়ি ঢল ও উচ্চ জোয়ারের পানিতে নিম্নঅঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আজ শুক্রবার বিকেলে পর্যন্ত ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে এবং পাহাড়ি ঢলে ছনুয়া, খানখানাবাদ সরল, বাহারছাড়া, চাম্বল, গন্ডামারায় স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে সমুদ্রে পানি বেশি হওয়ায় কিছু কিছু জায়গায় বেরিবাধ ভেঙ্গে ও টপকে সমুদ্র লোনা পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।

লোকালয়ের সমুদ্র লোনা পানি প্রবেশ করায় স্থানীয় চিংডিঘের ও সবজি ক্ষেতের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও পাহাড়ের ঢলে পান খেত ও সবজি খেতে কয় ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবার সকালে ছনুয়া, খানখানাবাদ, চাম্বল, এলাকায় বেড়িবাঁধ টপকে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তাৎক্ষণিক পানি ঢোকা বন্ধ করার ব্যবস্থা করছে।অন্যদিকে, ঝড় ও ভারী বৃষ্টিতে গাছ উপড়ে বৈদ্যুতিক লাইনে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায়।

বৃহস্পতিবার, শুক্রবার (২৯/৩০ মে) সকাল থেকে বাঁশখালীর বহু গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের সর্বস্ব কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র জানা যায়। বাঁশখালী উপজেলা দন্ডায়মান ফসল : গ্রীষ্মকালীন শাকসবজী: ৩২২০ হেক্টর , দূর্যোগ আক্রান্ত ফসল ১৫৫০.০ হেক্টর মাঠে দন্ডায়মান আউশ বীজতলা : ৮০ হেক্টর দূর্যোগ আক্রান্ত – ৭০ হেক্টর। গত দুদিন ধরে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ের ঢলে এবং উচ্চ জোয়ারের বেশ কয়েকটি এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হিসাব পেতে দুই একদিন সময় লাগবে। বিভিন্ন ইউনিয়নে আমাদের মাঠ কর্মীরা এ বিষয়ে কাজ করা যাচ্ছে।

খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম সিকদার জানান, সকালে খানখানাবাদ পয়েন্ট ও কদম রসুল পয়েন্ট এলাকায় সমুদ্রের উচ্চ জোয়ারের ফলে বেড়িবাঁধ ডিঙিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তাৎক্ষণিক স্থানীয় নিয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।

বাঁশখালী উপজেলা সিপিবির রেডিও অপারেটর মিটু কান্তি দাশ জানান, দেশের আবহাওয়ার অবস্থা খারাপ হওয়ায় বাঁশখালীর বিভিন্ন জায়গায় সিপিবির স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জামশেদুল আলম জানান, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ের ঢলে এবং সমুদ্রর জোয়ারের ফলে কোথাও তেমন ধরনের বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে এ বিষয়ে সব সময় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার সকালে ছনুয়া ও খানখানাবাদ, চাম্বল কিছু কিছু জায়গায় বেড়িবাঁধ ডিঙিয়ে সমুদ্রর লোনা পানি প্রবেশ করলে। জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সেগুলো তাৎক্ষণিক বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কামারশালায় চলছে টুং টাং কর্মযজ্ঞ
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলে ২২ কেজি ওজনের বোয়াল