বাঁশখালীর চাম্বল জেনারেল হাসপাতালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় ভাঙচুর–লুটপাট ও ডাক্তার, নার্স–স্টার্ফদের মারধর করে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলেছে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় হাসপাতালের অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত রবিবার বাঁশখালীর শেখেরখীল রাস্তার মাথায় ছাত্রদের মিছিলে হামলা চালায় আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। এ হামলা গড়িয়ে চাম্বলস্থ বেসরকারি হাসপাতাল ‘বাঁশখালী জেনারেল হাসপাতাল’এ অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক, স্টাফ–নার্সদের মারধর করে। এমনকি হাসপাতালে ভর্তিরত রোগীদেরও মারধর করেন তারা। এ সময় হাসপাতালের ফার্মেসি ভাংচুর, ঔষধ নষ্ট, কম্পিউটার, প্রিন্টার, সিসি টিভি, ডাটা সার্ভার ভাঙচুর ও লুট, অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিসংযোগ, অফিস স্টেশনারি লুটপাট, মেশিনারিজ ক্ষয়ক্ষতি, ফার্নিচার, স্ট্রাকচার (চিলিং, টেম্পার গ্লাস) ভাঙচুর করে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। হাসপাতালের বিভিন্ন ডকুমেন্ট লুটপাট করে জ্বালিয়ে দিয়ে নগদ ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি টাকা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাদুর রশিদ চৌধুরী, অফিস ডিরেক্টর সৈয়দ মরতুজা আলী চৌধুরী, সহকারী ম্যানেজার আব্দুর রহিম, আইটি অফিসার মাঈনুদ্দিন হাসান, ল্যাব কনসালটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ফেরদৌস আরেফিন, শেয়ার হোল্ডার ডা. আশেক এলাহী, মো. ওবাইদুর রহমান। এদিকে গত সোমবার বিকালে পুইছড়ির প্রেম বাজারে কোটা আন্দোলনে নিহতের স্মরণে গায়বানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বেশ কয়েকটা ইউনিয়নের জামায়াতের নেতৃত্বে গায়বানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বলে সূত্রে জানা যায়।