বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. আবদুর রহমানের আপিল আবেদনের ওপর শুনানি গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে।
পরে আজ সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) মামলার রায় খারিজ করে দেওয়ার ফলে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে যাবেন বলে জানান রহমানের ছো্ট ভাই জব্বার।
এর আগে রবিবার পাঁচ কাউন্সিলর প্রার্থীর আপিল আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ড. বদিউল আলমের উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখিত ৬ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে মো. আবদুর রহমানের হলফনামায় তথ্য গোপনের বিষয়ে অনুষ্ঠিত শুনানি শেষে ফলে সোমবার এ বিষয়ে মামলা খারিজ করে দেয়। ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. শাহাবুদ্দিনের আপিল আবেদন খারিজ করা হয়েছে। এতে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।
এছাড়া ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. হারুন, ৫নং ওয়ার্ডে মাইনুল ইসলাম মানিক, ২নং ওয়ার্ডে আবদুল লতিফ ও ৯নং ওয়ার্ডে মুহিবুল্লাহর আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষে জেলা প্রশাসনের তরফে তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই বলে সিদ্ধান্ত জানানোর তারা আবারো পুরাধামে মাঠে নামছে।
গতকাল ড. বদিউল আলমের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী ও তাদের আইনজীবীরা। এদিকে প্রার্থীরা এখন ও পর্যন্ত কোন প্রতীক না পেলেও তাদের কর্মী সমর্থক নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়সাল আলম বলেন, “তিন প্রার্থী বাদ বাকি ৪৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ১০ এবং মেয়র পদে ২ জন রয়েছে।
তবে জেলা নির্বাচন অফিসে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে তাও এ প্রতিনিধির সাথে কথা বলার আগে পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।
বাঁশখালী পৌরসভার নির্বাচন ইউভিএম-এর মাধ্যমে হবে।
আজ ২৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ এবং ভোটগ্রহণ ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। বাঁশখালী পৌর নির্বাচনে মোট ভোটার ২৬ হাজার ৯৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ৯৪ জন এবং মহিলা ১২ হাজার ৮৮৬ জন। এ বছর ৯টি ওয়ার্ডে ১১টি ভোট কেন্দ্র এবং কক্ষ ৮৪টি ভোট প্রদান করা হবে।