বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের সাথে কোটা সংস্কারপন্থী বিএনপি জামায়াত সমর্থিতদের সাথে চাম্বলে এবং বৈলছড়ি এলাকায় পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। রবিবার দুপুরে এবং বিকালে পৃথক পৃথক ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হলেও তাদের মধ্যে ১০ জন বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। সারাদেশের ন্যায় বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা কার্যালয়ে জমায়েত সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে আসার পথে দুপুর ১২ টার দিকে বৈলছড়ির মাদ্রাসা এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় সাধনপুর এলাকার আজিজুল হক (২৯), মোরশেদুল রহমান (২৭), জুবায়ের আলম (২৮)। এ ব্যাপারে আহত আজিজুল হক বলেন, সকালে আমরা এলাকায় মিছিল শেষে মোটরসাইকেলে করে দুপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য বৈলছড়ি মাদ্রাসা এলাকায় পৌঁছলে কোটাপন্থীরা আমাদের ওপর হঠাৎ ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। দুপুরে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরের দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হয় এবং মিছিল বের করে। এরপর বিকালে চাম্বলে ও শেখেরখীল রাস্তার মাথা এলাকায় জামায়াত বিএনপির পক্ষে মিছিল ও সমাবেশ করার খবরে অধিকাংশ নেতাকর্মী সেখানে ছুটে যায়। সেখানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ঘটনায় ৮/১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান করলেও বাঁশখালীজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে চাম্বলের হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন চাম্বলের ইমরান মাহমুদ চৌধুরী রুমন (২৩) পৌরসভার উত্তর জলদী এলাকার মো. জামাল হোসেন টিপু (৩৫), জাতীয় শ্রমিকলীগের বাঁশখালী পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক এইচ এম মিজানুর রহমান, শীলকূপের সাহাব উদ্দিন(৩৭), গণ্ডামারার রবিউল আলম (৫৩), জলদীর সাজ্জাদ হোসেন (২৭), চাম্বলের নাফিজুল ইসলাম (১৯)।
এদিকে দেশব্যাপী নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বাঁশখালীতে মিছিল সমাবেশ করেছে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।
বাঁশখালী থানার এসআই মো. কামরুল হাসান কায়কোবাদ সংঘটিত ঘটনায় কোনো মামলা কিংবা আটক নেই বলে জানান।