চট্টগ্রামের বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার ও ইউপি মেম্বার শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
২৩ জুন (রবিবার) এমপি মুজিবুর রহমান সিআইপির ব্যক্তিগত সহকারী মীর মো: নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে বাঁশখালী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার ও মেম্বার শহিদুল ইসলাম সহও চাল বিতরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীসহ ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডি চট্টগ্রামকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, খানখানাবাদ ইউনিয়নের এক হাজার জেলের জন্য মাথাপিছু ৫৬ কেজি করে ৫৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। ১১ জুন রাতে এমপি মুজিবুর রহমান সিআইপির কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, চাঁনপুর খাদ্য গোদাম থেকে উত্তোলন করা জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫৬ টন চালের মধ্যে কিছু চাল আসামিদের যোগসাজশে আত্মসাত করে ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত খাদ্য গোদামে না রেখে বেআইনিভাবে বিক্রি করে বিক্রিত টাকা আত্মসাৎ করার জন্য অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়।
পরদিন ১২ জুন সকাল ৮টায় সাংসদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আসামিদের নিয়োগকৃত শ্রমিকরা চাল বিতরণের জন্য প্রস্তুত হন। উপকারভোগী জেলেরাও চাল নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানো ছিল। এসময় এমপি উপস্থিত হয়ে শ্রমিক ও জসীম উদ্দিন হায়দারকে কত টন চাল আছে জিজ্ঞেস করলে ৫৬ টন চাল আছে বলে জানায়।
ইউনিয়ন পরিষদের গোদামে ৪০ টন চাল থাকলেও অবশিষ্ট ১৬ টন পাওয়া যায়নি। পরে তা একটি ট্রাকে পাওয়া যায়।
এদিকে গত ১২ জুন ঘটনার পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে চেয়ারম্যান, দায়িত্বরত সরকারি টেক অফিসার, পুলিশ ও পরিষদের ১১ জন সদস্য কোন ধরনের কারচুপি কিংবা আত্মসাৎ করা হয়নি বলে এক লিখিত বক্তব্য প্রদান করেছিলেন।
ছবি সংযুক্ত ঃ চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন হায়দার